ঢাকা, বুধবার, ০ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সংসদের সামনে চিকিৎসক-এমপিদের মানববন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৫
সংসদের সামনে চিকিৎসক-এমপিদের মানববন্ধন

ঢাকা: হরতাল-অবরোধের নামে নাশকতা সৃষ্টি করে পেট্রোলবোমায় সাধারণ মানুষকে হত্যা, দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ভঙ্গুর ও অর্থনীতির মেরুদণ্ডকে ভেঙ্গে দেওয়ার কাজে জড়িত বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিকে পরিহার করে দেশবাসীকে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসক ও এমপিরা।
 
সোমবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের ন্যাম ভবনের সামনে হরতাল-অবরোধের প্রতিবাদে চিকিৎসক ও সংসদ সদস্যদের জোট আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ আহ্বান জানানো হয়।


 
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক আইয়ুব খানের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, খালেদা জিয়া পাকিস্তানের সাবেক দেশনেতা আইয়ুব খানের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে বর্তমানে কাজ করছেন।
 
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আইয়ুব খান বলেছিলেন, আমি এদেশের মানুষ নয়, মাটি চাই। তার নির্দেশে বর্বর হামলা চালিয়ে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তারই উত্তরসূরী হিসেবে খালেদা জিয়াও একই কাজ করছেন। খালেদা জিয়াও দেশের মানুষ নয়, মাটি চান। তাই তিনি দেশের মানুষকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে হত্যা করছেন।

হরতাল-অবরোধ অবৈধ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধ গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু এর নামে মানুষ পুড়িয়ে মারা অবৈধ। যারা এ কাজ করছেন তারা সন্ত্রাসী। এদেশের জনগণ সন্ত্রাসীদের রুখে দেবে।
 
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক বলেন, যারা জঙ্গি, সন্ত্রাসী নিয়ে এদেশে রাজনীতি করছে তাদের পরিহার করতে হবে। যদি সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি কর্মকাণ্ড পরিহার করা না হয় তাহলে এদেশের মানুষ তাদের রুখে দেবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি আমরা ঘৃণা করি। চিকিৎসক সমাজ দেশের মানুষের মতো জেগে উঠেছে।
 
আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু বলেন, চিকিৎসকরা নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকেই আজকের এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছেন। সন্ত্রাসের রানী খালেদা জিয়া এখন আর বিএনপি নেত্রী নন। তার পুত্র তারেক রহমানের নির্দেশে জ্বালাও-পোড়াও মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটছে।
 
সাবেক এমপি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, খালেদা জিয়া দেশে যে অবস্থার সৃষ্টি করেছেন, এজন্য ১৫ লাখ ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিতে পারেনি। তারেক রহমানের ইঙ্গিতেই বাংলাদেশে এ ঘটনাগুলো ঘটছে। কী কারণে এ ঘটনা ঘটছে তার বিচার করতে হবে।
 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে বলতে চাই, আপনি কার এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন জানি না। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আমাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করুন।
 
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, মানুষকে জিম্মি করে রাজনীতি হয় না, রাজনীতি মানুষের জন্য। এ ধরনের জ্বালাও-পোড়াও গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে পড়ে কি না এটা আপনারা জানেন। জাতীয় সংসদ আছে। আমরা সংসদকে বলবো এমন আইন করতে যাতে কেউ আগুন দিয়ে, সন্ত্রাস করে রেহাই না পায়।
 
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দিপু মনি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. সামন্ত লাল সেন, বিএম-এর মহাসচিব ডা. ইকবাল আর্সনাল, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব ডা. কামরুল হাসান খান, সংসদ সদস্য ডা. আমানুল্লাহ, সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত প্রমুখ। মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।