ঢাকা, বুধবার, ০ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রমে আগ্রহী ভুটান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৫
সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রমে আগ্রহী ভুটান

ঢাকা: বাংলাদেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রমে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভুটান। এতে পরস্পরের সংস্কৃতিকে জানার মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও বাড়বে বলে মনে করে দেশটি।



সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে সফররত ভুটানের স্বরাষ্ট্র ও সংস্কৃতিমন্ত্রী ড্যামকো দর্জি (Damcho Dorji) সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন।

১৯৭৮ সাল থেকে ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক চুক্তি থাকলেও এখন পর্যন্ত দু’দেশের মধ্যে কোনো সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম নেই বলে জানান সংস্কৃতিমন্ত্রী। এ বিনিময় কার্যক্রম সম্পাদিত হলে পরস্পরের সংস্কৃতিকে জানার মাধ্যমে দু’দেশের জনগণের সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে।

ভুটানের স্বরাষ্ট্র ও সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভুটান অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র। শুধু ভৌগোলিকভাবে নিকটবর্তী হিসেবেই নয়, দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমসংস্কৃতি, পারস্পরিক বিশ্বাস, খাদ্যাভাস, সামাজিক প্রথা ও আচার-অনুষ্ঠান আমাদেরকে একে অপরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করেছে। দীর্ঘদিন ধরে ভুটান যেমন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদান করে আসছে, তেমনই বাংলাদেশও আমাদেরকে নানা বিষয়ে সহযোগিতা করে আসছে।
দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সাংস্কৃতিক চুক্তির আওতায় ভুটান বাংলাদেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রমের ব্যাপারে আগ্রহী এবং এ লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে তিনি মন্তব্য করেন।

ভুটানকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশ দু’টির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় এবং তখন থেকেই দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে দু’দেশ আন্তরিকভাবে একত্রে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ও ভুটান একত্রে ব্যবসা-বাণিজ্য, জ্বালানি, ট্রান্সপোর্টসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান আসাদুজ্জামান নূর।

তিনি বলেন, ১৯৮০ সালে স্বাক্ষরিত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক চুক্তি অনুযায়ী পরস্পরকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ দেশ হিসেবে বিবেচনা করে দেশ দু’টি পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলছে। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভুটান সফর ও ২০১৪ সালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে সুদৃঢ় করেছে। সহযোগিতার এ ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে।

সাক্ষাতকালে ঢাকায় নিযুক্ত ভুটান দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব কাদেন দর্জি (Kalden Dorji) এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।