ঢাকা: সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য হ্যাপী বড়ালের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ উঠেছে সংসদের সিকিউরিটি বিভাগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। সরকার দলীয় এ নারী সংসদের স্বাক্ষর জাল করে দর্শক গ্যালারির পাস সংগ্রহ করেন সিকিউরিটি সহকারী মো. এরশাদ ও ফিরোজ।
সোমবার (০২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ সচিবালয় সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করে।
সূত্র জানায়, গত ২৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশন চলাকালে এরশাদ ও ফিরোজ তাদের পরিচত দু’জনকে গ্যালারি পাস সংগ্রহ করে দেন। পাশ সংগ্রহের সময় সরকার দলীয় সদস্য হ্যাপী বড়ালের স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়।
পরে বিষয়টি সংসদ সদস্যের নজরে এলে তিনি জাতীয় সংসদের ‘সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস’র কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে সার্জেন অ্যাট আর্মস আশরাফুল হক স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে বিষয়টি অবহিত করেন।
এরপর পাস সংগ্রহকারী ও ব্যবহারকারীদের নামে গত ২৯ জানুয়ারি শের-ই বাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের হয়। মামলা নং-২২। মামলা করার পর সংসদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পাস ব্যবহারকারী মাজেদুর রহমান ও কেএম জাহিদ হাসানকে থানায় সোপর্দ করে। তবে পাস সংগ্রহকারী সংসদের দুই সিকিউরিটি সহকারী পলাতক রয়েছেন বলে বাংলানিজকে জানিয়েছেন ডেপুটি সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস মো. সেলিম উদ্দিন খান।
তিনি বলেন, পাস ব্যবহারকারী দু’জনকে শেরে বাংলানগর থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য দু’জন যারা পাস সংগ্রহ করেছিল তারা পালাতক রয়েছেন। তবে তাদের পাওয়া মাত্র আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হবে।
এদিকে গত বুধবার সংসদ অধিবেশনে দর্শক গ্যালারিতে আসা দর্শনার্থীদের প্রায় ১৩ জনের মোবাইল ফোন জব্দ করে সংসদে নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এসব মোবাইল এখনও তাদের কাছেই রয়েছে। মোবাইল ফেরত দেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে জানা গেছে মুচলেকার মাধ্যমে মোবাইলগুলো ফেরত দেওয়া হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৫