ঢাকা: আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির পর থেকে অনুষ্ঠেয় সব পৌরসভা নির্বাচনেও ইলেকট্র্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিভাগকে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে প্রস্তাব পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সর্বশেষ বড় পরিসরে পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন হয়েছিলো ২০১১ সালের জানুয়ারিতে। সে সময় দেশের ৩১৭টি পৌরসভার মধ্যে ২৫৪টি পৌরসভায় পাঁচ দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে সব পৌরসভা নির্বাচনের কাউন্টডাউন এবছরের জুলাইয়ের দিকে শুরু হবে। তাই এখন থেকেই এ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা ভাবনা চলছে।
এ বিষয়ে ইসির উপ-সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, চলতি অর্থ বছর শেষ হলে পৌরসভা নির্বাচন করা হবে। এক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য ইভিএম প্রস্তুত করা গেলে এই যন্ত্রের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হবে।
এদিকে ইসি সচিবের লিখিত নির্দেশনা থেকে ইভিএমের কারিগরি দিক উন্নয়নের পরিকল্পনাও লক্ষ্য করা গেছে। এতে তিনি বলেছেন, বর্তমানে স্থানীয় বাজার থেকে ব্যাটারি কিনে ইভিএমে ব্যবহার করা হয়। তাই ব্যাটারি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইভিএম উপযোগী ব্যাটারি প্রস্তুত করতে পারবে কি না, সে বিষয়েও আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে। এ বিষয়টি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে ইসির তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি অণুবিভাগ।
এছাড়া ২০১৩ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় বিকল হয়ে যাওয়া ইভিএম এর ক্রটি নির্ধারণ ও সমাধানের জন্য বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কেও(বুয়েট) নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। বুয়েটের আইসিটি বিভাগকে সোমবার নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন ইসির মেনেটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মো. ইকবাল জাভীদ।
ইসির সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক বলেছেন, ভবিষতে নির্বাচনে ব্যবহারের সময় ইভিএমে যাতে ত্রুটি না দেখা দেয় বা ত্রুটি দেখা দিলেও যেন ভোটগ্রহণের সমস্যা না হয় সে জন্য বিকল ইভিএমটি সচল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সমস্যা ও সমাধান না জেনে অন্য কোনো নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না।
এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন বিগত নির্বাচন কমিশন ২০১০ সালে যন্ত্রের মাধ্যমে ভোটনেওয়ার প্রচলন সীমিত আকারে চালু করে। সে সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৩০ টি মেশিন ব্যবহার করে ব্যাপক সাফল্য পায় ইসি। কিন্তু এরপর যতটি নির্বাচন হয়েছেসবগুলোতেই কোনো না কোনো মেশিনে ত্রুটি দেখা দিয়েছিলো। সেগুলো আবার সারিয়েও তোলা হয়েছে। কিন্তু রাজশাহী সিটি নির্বাচনে সৃষ্ট সমস্যা বড় বিধায় তার সমাধান এখনো বের করতে পারেনি ইসি।
বুয়েটের কাছ থেকে ইসি দু’দফায় ৫৩০টি এবং বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে ৭০০টি ইভিএম কিনেছিলো।
ইতিমধ্যে ভবিষতে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭ ঘণ্টা, ৩ জানুয়ারি, ২০১৫