ঢাকা: থানায় নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগে নিউএইজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক নাজমুল হুদা সুমন রমনা থানার দুই ওসি ও অভিযুক্ত নির্যাতনকারী এসআই মেহেদি হাসান সুমনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ন কমিশনারকে মামলার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাংবাদিক নাজমুল হুদা সুমন বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান, ওসি (তদন্ত) আলী হোসেন ও এসআই মেহেদী হাসান সুমনসহ অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জন পুলিশ সদস্যকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার ছাদাত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে মামলাটির ঘটনা তদন্ত করে আগামী ১০ মার্চের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ডিবির যুগ্ম কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নাজমুল হুদা সুমন তার বন্ধু খায়রুজ্জামান শুভকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে কাকরাইলের রাজমনি সিনেমা হলের সামনে এলে ট্রাফিক পুলিশ তাদের থামায়। দুইজন মটরসাইকেলে ওঠা নিষিদ্ধ জিজ্ঞেস করে কারণ জানতে চাইলে সুমন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন। সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত এসআই মেহেদী হাসান সুমন বাদী ও তার বন্ধুকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন।
এরপর এসআই সুমন এক কনস্টেবলকে বাদী ও তার বন্ধুর মোবাইলে প্রধানমন্ত্রীর নগ্ন ছবি আপলোড করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
পরে তাদের রমনা থানায় নিয়ে সেখানেও মারধর করে দুজনকেই গুরুতর আহত করা হয়। এরপর এসআই সুমন একটি রেকর্ডার এনে বাদী ও তার বন্ধুকে পাবলিক পিটিয়েছে মর্মে জোর করে স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেন। পরে পুলিশ তাদের ছেড়ে দিলে প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, রমনা থানার ওসি ও ওসি তদন্তের নির্দেশে এসআই মেহেদী হাসান সুমন ও অনান্য অজ্ঞাত পুলিশ সদস্যরা বাদী ও তার বন্ধু শুভকে পিটিয়ে জখম করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫