ঢাকা, বুধবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মেয়র মনজুর, মহিউদ্দিন ও ভিসি অনুপমের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৫
মেয়র মনজুর, মহিউদ্দিন ও ভিসি অনুপমের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর, মনজুর আলম এবং ড. অনুপম সেন

ঢাকা: রাজনীতিতে দু’জন দুই মতাদর্শের হলেও পরস্পরের যোগসাজশে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. মনজুর আলম এবং সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ দু’জনের সঙ্গে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. অনুপম সেনের নামও রয়েছে।


 
বিএনপি সমর্থিত মেয়র মনজুর বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন ও ভিসি অনুপম সেন এর সদস্য।
 
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বেশি দাম দেখিয়ে তারা সমঝোতার ভিত্তিতে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। দুদকে এমন অভিযোগ এলে যাচাই-বাছাই করে তা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।

দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র অনুসন্ধানের বিষয়ে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
 
মঙ্গলবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুদক সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ অনুসন্ধানে সম্প্রতি দুদকের উপ-পরিচালক কে এম মিছবাহ উদ্দিনকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ও পরিচালক মো. মনিরুজ্জামানকে তদারককারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
 
দুদক আসা অভিযোগে দেখা যায়, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে কেনা এক দশমিক ৬৬৮ একর জমির (দলিল নম্বর ৭৯২১, তারিখ ২৮/০৫/২০১৪) মূল্য দেখানো হয়েছে ২১ কোটি টাকা। ওই জমির প্রকৃত বাজার মূল্য ১০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের ওই সদস্যরা পরস্পরের যোগসাজশে বেশি মূল্যে ক্রয় দেখিয়ে বাকি ৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা বেশি পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
 
জানা গেছে, শিগগিরই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলবি নোটিশ পাঠাবে দুদক।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।