ঢাকা: রাজনীতিতে দু’জন দুই মতাদর্শের হলেও পরস্পরের যোগসাজশে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. মনজুর আলম এবং সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ দু’জনের সঙ্গে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. অনুপম সেনের নামও রয়েছে।
বিএনপি সমর্থিত মেয়র মনজুর বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন ও ভিসি অনুপম সেন এর সদস্য।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বেশি দাম দেখিয়ে তারা সমঝোতার ভিত্তিতে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। দুদকে এমন অভিযোগ এলে যাচাই-বাছাই করে তা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।
দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র অনুসন্ধানের বিষয়ে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুদক সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ অনুসন্ধানে সম্প্রতি দুদকের উপ-পরিচালক কে এম মিছবাহ উদ্দিনকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ও পরিচালক মো. মনিরুজ্জামানকে তদারককারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দুদক আসা অভিযোগে দেখা যায়, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে কেনা এক দশমিক ৬৬৮ একর জমির (দলিল নম্বর ৭৯২১, তারিখ ২৮/০৫/২০১৪) মূল্য দেখানো হয়েছে ২১ কোটি টাকা। ওই জমির প্রকৃত বাজার মূল্য ১০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের ওই সদস্যরা পরস্পরের যোগসাজশে বেশি মূল্যে ক্রয় দেখিয়ে বাকি ৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা বেশি পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, শিগগিরই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলবি নোটিশ পাঠাবে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫