ঢাকা, বুধবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

জুবায়ের হত্যা মামলার রায় বুধবার

মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৫
জুবায়ের হত্যা মামলার রায় বুধবার

ঢাকা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইংরেজি ৩৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ হত্যাকাণ্ডের ৩ বছর পর রায ঘোষণা করা হচ্ছে বুধবার (৪ ফেব্রুয়ারি)।

ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি বিচারাধীন আছে।

জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারক এবিএম নিজামুল হক এ রায় ঘোষণা করবেন।

মামলার ১৩ আসামি হলেন, খন্দকার আশিকুল ইসলাম আশিক, মো. রাশেদুল ইসলাম রাজু, খান মো. রইছ ওরফে সোহান, জাহিদ হাসান, ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ, মাহবুব আকরাম, নাজমুস সাকিব তপু, মাজহারুল ইসলাম, কামরুজ্জামান সোহাগ, মো. নাজমুল হুসেইন প্লাবন, শফিউল আলম সেতু, অভিনন্দন কুণ্ডু অভি ও মো. মাহমুদুল হাসান মাসুদ। তারাও জাবির বিভিন্ন ব্যাচ ও বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

১৩ আসামির মধ্যে ৭ জন কারাগারে আটক আছেন। বাকি ৬ জন পলাতক।

কারাগারে আটক ৭ আসামির সবাই জামিনে ছিলেন। গত ২৮ জানুয়ারি মামলার বিচারিক কার্যক্রমের শেষ দিনে তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলার কাঠগড়া থেকে চার আসামি খন্দকার আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মো. রইছ, ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ ও মাহবুব আকরাম পালিয়ে যান। তাদের ছাড়াই মামলার কার্যক্রম শেষ হয়।

২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি বিকেলে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ ৪র্থ বর্ষ অনার্স পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এরপর তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ওইদিন রাতেই রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ভোরে মারা যান জুবায়ের।

জুবায়ের জাবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবাসিক হলের ছাত্র ছিলেন।

ইতোমধ্যে জুবায়েরের মা-বাবা, বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা হত্যা মামলায় রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।

নিহত জুবায়েরের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মদিনাবাগ নাবলাপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম তোফায়েল আহমেদ, মাতার নাম হাসিনা আহমেদ।

জুবায়ের হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) হামিদুর রহমান বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)  মীর শাহীন শাহ পারভেজ ২০১২ সালের ৩ এপ্রিল ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।

আসামিদের মধ্যে মাহবুব আকরাম ও নাজমুস সাকিব তপু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

২০১৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।

রায় ঘোষণার আগে চার্জশিটভূক্ত ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।