ঢাকা, বুধবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুরে জোড়া খুনের মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্যগ্রহণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৫
ফরিদপুরে জোড়া খুনের মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্যগ্রহণ ফাইল ফটো

ঢাকা: জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ফরিদপুরের চর টেপাখোলা মুন্সিডাঙ্গী গ্রামের শামসুল হক মীর মালত দম্পতি হত্যা মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলাবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন তৎকালীন ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।



ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি বাকি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

এ নিয়ে চার্জশিটভূক্ত ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।

২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর দুপুর ফরিদপুর শহরতলীর চরটেপাখোলার মুন্সিডাঙ্গী গ্রামের মালত পাড়ায় শামসুল হক মীর মালত (৭০) ও তার স্ত্রী নারগিছ নাহার বেগম ওরফে শেলী (৬০) নামের ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

নিহত শামসুল হক মীর মালত অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিএ) অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন।

এ ঘটনায় নিহতের একমাত্র ছেলে কামরুল আহসান মাসুদ বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনাটি তদন্ত করে র‌্যাব-৮ এর এএসপি মো. কামাল উদ্দিন সুজন ব্যাপারী, নজরুল ইসলাম ও মীর মো. তানভীর রহমান ওরফে খসরুকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা বর্তমানে কারাগারে আটক আছেন।

নিহতের একমাত্র ছেলে ও মামলার বাদী কামরুল আহসান মাসুদ বাংলানিউজকে জানান, আসামিরা কারাগারে আটক থাকলেও তাদের আত্মীয়-স্বজনরা মামলার সাক্ষীদের আদালতে আনতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। বাদীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করলে হুমকির ঘটনাটি তদন্ত হয়। পুলিশ এর সত্যতা পেলে আদালতে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারায় প্রসিকিউশন দাখিল করে।

বাদী আরও বলেন, মা-বাবা হত্যার বিচার চেয়ে তিনি নিজেই এখন নিরাপত্তাহীনতার ভুগছেন।   

বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।