ঢাকা: জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ফরিদপুরের চর টেপাখোলা মুন্সিডাঙ্গী গ্রামের শামসুল হক মীর মালত দম্পতি হত্যা মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলাবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন তৎকালীন ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি বাকি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
এ নিয়ে চার্জশিটভূক্ত ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর দুপুর ফরিদপুর শহরতলীর চরটেপাখোলার মুন্সিডাঙ্গী গ্রামের মালত পাড়ায় শামসুল হক মীর মালত (৭০) ও তার স্ত্রী নারগিছ নাহার বেগম ওরফে শেলী (৬০) নামের ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
নিহত শামসুল হক মীর মালত অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিএ) অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহতের একমাত্র ছেলে কামরুল আহসান মাসুদ বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাটি তদন্ত করে র্যাব-৮ এর এএসপি মো. কামাল উদ্দিন সুজন ব্যাপারী, নজরুল ইসলাম ও মীর মো. তানভীর রহমান ওরফে খসরুকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা বর্তমানে কারাগারে আটক আছেন।
নিহতের একমাত্র ছেলে ও মামলার বাদী কামরুল আহসান মাসুদ বাংলানিউজকে জানান, আসামিরা কারাগারে আটক থাকলেও তাদের আত্মীয়-স্বজনরা মামলার সাক্ষীদের আদালতে আনতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। বাদীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করলে হুমকির ঘটনাটি তদন্ত হয়। পুলিশ এর সত্যতা পেলে আদালতে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারায় প্রসিকিউশন দাখিল করে।
বাদী আরও বলেন, মা-বাবা হত্যার বিচার চেয়ে তিনি নিজেই এখন নিরাপত্তাহীনতার ভুগছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫