জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: লাগাতার হরতাল-অবরোধে সৃষ্ট নাশকতা বন্ধে ভারতের টাডা (Terrorist and Disruptive Activities) আইনের মতো নতুন আইন করার দাবি জানিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, বর্তমানে যা চলছে নিছক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনে করার কোনো কারণ নেই।
ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর শাসনামলে ১৯৮৫ সালে তৈরি টাডা (Terrorist and Disruptive Activities) আইন করে এ জাতীয় পরিস্থিতির মোকাবেলার উদাহরণ টেনে সুরঞ্জিত বলেন, গণতন্ত্রে বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবেলা করতে হয় না, তা নয়। বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনে নতুন আইন করতে হবে। সেই আইনটি কি হবে তা ভাবতে হবে। ওই সমস্ত বিচ্ছন্নতাবাদী ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের দীর্ঘদিন আটক রেখে বিচারের ব্যবস্থা নতুন আইনে রাখতে হবে। ‘টাডা’ আইনে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে আটক রাখা হতো।
মঙ্গলবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেন সাবেক রেলমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশের যেকোন অবস্থা মোকাবেলা করার অধিকার ৭২‘র সংবিধানেই আছে। সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা শপথ নিয়েছেন, সেই শপথ হলো- জনগণের জানমালের রক্ষা করা। খালেদা জিয়া বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা। তারা এই দেশে ফ্যাসিজম কায়েম করতে চায়। এ অবস্থায় সংসদ এবং সরকার নিশ্চুপ থাকলে চলবে না। দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে সংসদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে।
‘প্রধানমন্ত্রী আপনি যে কোন ব্যবস্থা নেন মানুষ তৈরি আছে’ বলেন সুরঞ্জিত।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন, বিচ্ছিন্নতবাদ মোকাবেলা করবেন না, এটা হয় না। বিশ্বের কোথাও বিচ্ছিন্নতাবাদের কাছে গণতন্ত্র জিম্মি হয়নি। ইনসার্জেন্সি পরাজিত হয়েছে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। এজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও দৃঢ়তা।
এর আগে আলোচনায় অংশ নিয়ে জাসদের কার্যকরী সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদল বলেন, এই সংসদ যদি মনে করে খালেদা জিয়া গণতান্ত্রিক তাহলে আলোচনা করা যেতে পারে। তিনি দেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চালিয়েছেন। শরীরের কোথাও ‘গ্যাংরিন’ হলে সেটা কেটে ফেলতে হয়। খালেদা জিয়া দেশ ও জাতির ‘গ্যাংরিন’। খালেদা জিয়াকে কেউ নাশকতা চালানোর অধিকার দেয়নি। যে আচারণ তিনি দেশের মানুষের সঙ্গে করছেন তাতে তার বাইরে থাকার অধিকার নেই। তার স্থান কাশিমপুর কারাগার।
তিনি বলেন, তার দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে যদি গ্রেফতার করে রিমান্ডে পাঠানো হয়। তাহল তিনি কোন রানী ভিক্টরিয়া! তাকে গ্রেফতার করছেন না কেন?
এদিকে পেট্রোলবোমার আঘাতে মানুষ হত্যার দায়ে সংক্ষিপ্ত সময়ের বিচারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান রেখে আইনের দাবি করেছেন ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, এসিড নিক্ষেপের জন্য বিশেষ আইনে বিচার হতে পারে। এসিড নিক্ষেপে মানুষ মরে না, ঝলসে যায়। আর পেট্রোলবোমার আঘাতে মানুষ মারা যায়। তাই পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের জন্য সংক্ষিপ্ত বিচারে মৃত্যুদণ্ড বিধান রেখে বিশেষ আইন প্রণয়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫
** হাজী সেলিমকে আবারও সর্তক করলেন ডেপুটি স্পিকার
** প্রচলিত আইনে বাল্যবিবাহ দূর করা সম্ভব নয়
** সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১৫ প্রকল্প নাজুক অবস্থায়
** বিদ্যুতের দাম সামান্য বাড়লে বোঝা হবে না
** যৌথবাহিনী নামিয়ে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি
** সবার প্রশ্নের উত্তরেই জবাব ‘৩ বছর’
** মার্চ থেকে শিল্পকারখানায় গ্যাস সংযোগ
** প্রতিমাসে ৩ হাজার বিতরণ ট্রান্সফরমার পুড়ে যাচ্ছে