নাটোর: মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় রেজাউল করিম নামে বাদীকে বেধড়ক মারধর করেছে আসামিরা। এসময় তারা বাদীকে আদালতের বারান্দায় ফেলে গলায় মাফনার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শত শত মানুষের সামনে নাটোর আদালতের বারান্দায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এই ঘটনায় বাদী আরো একটি মামলা করেন।
এদিকে, বাদীকে মারধরের সময় নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রসাদ কুমার তালুকদার নিষেধ করলে আসামিরা তাকেও লাঞ্ছিত করে। খবর পেয়ে আদালতের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা এসে বাদী রেজাউলকে উদ্ধার করে।
বাদীর অভিযোগ, নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়।
তিনি জানান, আদালতের বারান্দায় মারধরের শিকার হয়ে তিনি দুপুরেই সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান মুন্নীর আদালতে একটি মামলা করেছেন। মামলায় মারধর, হত্যা প্রচেষ্টা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে নলডাঙ্গা উপজেলার পাটুল গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামি করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, আনোয়ার হোসেনের ভাই আফজাল হোসেন, আক্তার হোসেন, আফজাল হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন ও ভাতিজা জিয়া হোসেন।
এ ব্যাপারে নলডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি জিয়াউল হক জানান, আনোয়ার হোসেন যুবলীগের কেউ নন। তিনি এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ। সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় ২০১৪ সালের ১৮ মে পিপরুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কলিমুদ্দিনকে মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়া, স্থানীয় সংখ্যালঘু পরিবারের মার্কেটসহ অন্যর জমি জবর দখল ইত্যাদি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোপূর্বে তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আদালতে সংঘঠিত ঘটনাটি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, এ বিষয়ে তিনি আদালতের কোনো নির্দেশনা পাননি। পেলে ব্যবস্থা নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫