ঢাকা: বিরোধীদল-মতের নেতাকর্মীদের সভা-সমাবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া ও তার প্রেক্ষিতে হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহারেই দেশে চলমান রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান বলে মন্তব্য করেছেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
তিনি বলেন, দেশে চলমান সংকট সমাধানে সরকারকে সভা-সমাবেশ করার সুযোগ দিতে হবে এবং ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘এনকাউন্টারের’ নামে বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।
শনিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সমানে ‘আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা বন্ধ কর, দোষীদের বিচার ও দমন-পীড়ন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধ কর’ শীর্ষক এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এ সমাবেশের আয়োজক ‘পরির্বতনের দাবিতে জনতার প্রতিবাদ’ সংগঠন।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, দেশে চলমান সংকটের সমাধান খুবই সহজ। এ জন্য আগে সরকারকে সভা-সমাবেশ করার সুযোগ দিতে হবে। ক্রসফায়ার বন্ধ করতে হবে। অন্যদিকে বিএনপির হরতাল-অবরোধ বন্ধ করলেই সব সমস্যা শেষ।
তিনি আরও বলেন, এরপর একটি মাত্র সমস্যা দেশে থেকে যাবে। আর তা হলো- নির্বাচন নিয়ে সমস্যা। সে জন্য আমাদের নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করলেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন করা সম্ভব।
অ্যাটর্নি জেনারেলের সম্প্রতিক এক বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, সহিংসতাকারীদের দেখামাত্র গুলি করতে বলা হয়েছে। এমন নির্দেশ যদি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার কাছ থেকে আসে, তা হলে দেশে বিচার-আদালত বলে কিছুর মানে হয় না।
এ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক আহমেদ কামাল, সন্ত্রাস বিরোধী ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বী, রাজনীতিবিদ জোনায়েদ সাকি, সাইফুল হক, মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়য়া, উপন্যাসিক রাখাল রাহা, কথাসাহিত্যিক জাহানারা নুরী, সঙ্গীতশিল্পী অরূপ রাহীসহ সংস্কৃতি কর্মী-সংগঠক-রাজনীতিবিদ-পেশাজীবী-শ্রমজীবী নাগরিকগণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৫