ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

দূরপাল্লার বাস ছাড়তে বদ্ধপরিকর মালিকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৫
দূরপাল্লার বাস ছাড়তে বদ্ধপরিকর মালিকরা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: হরতাল-অবরোধে দূরপাল্লার বাস চলাচলে বদ্ধপরিকর রয়েছেন বাস মালিকরা।

সম্প্রতি দেশের ‘‘পরিবহন সেক্টরে চলমান নাশকতারোধ শীর্ষক” এক আলোচনা সভায় বাস মালিকরা তাদের এ সম্মতি জানান।



শনিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ টেলিকম অডিটোরিয়ামে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে পুলিশ মহাপরির্দশকের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভা শেষে পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহিদুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দূরপাল্লার মানুষের নিরাপত্তার জন্য আমরা পরিবহন মালিকদের প্রস্তাব দিয়েছিলাম রাত ৯ টার পর বাস না চালানোর জন্য। কিন্তু মালিক পক্ষ তারা তাদের জীবিকা নির্বাহের স্বার্থে পরিবহন চালনা করবেন বলে দাবি করেন।   নাশকতার ব্যাপারে মালিক পক্ষ ও পরিবহন শ্রমিকরা সতর্ক রয়েছেন।

এমন পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে মালিক পক্ষকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হবে।

তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধে মালিক পক্ষ যেহেতু গাড়ি চালাতে চায়। তাই আমরা পরিবহন শ্রমিকদের আশ্বস্ত করছি তারা যেন নিরাপদে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে পরিবহন চালনা করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হবে।

সম্প্রতি কুমিল্লা ও গাইবান্ধায় বাসে নাশকতা প্রসঙ্গ তুললে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ মহাপরিদর্শক শহিদুল হক বলেন, মানুষের জীবন বড় হলেও জীবন নির্বাহের জন্য তো রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে হবে। পরিবহন সংশ্লিষ্টদের নির্দেশন‍া দেওয়া হয়েছে গাড়িতে আগুন নির্বাপনকারী যন্ত্র ফায়ার এক্সটিংগুইসার রাখার জন্য। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখতে। এছাড়াও বাসের পেছনে একজন অতিরিক্ত হেলপার রাখতে।

আইজি বলেন, যেসব পরিবহন মালিকরা সাধারণত সড়কে গাড়ি চালনা করছেন না খুব শিগগিরই পরিবহন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ’র সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সম্প্রতি জামাত-শিবিরের যেসব নেতাকর্মীরা রাজধানীসহ সারা দেশে নাশকতা সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।  

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহ‍াসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, পরিবহন শ্রমিকরা জীবিকা নির্বাহের জন্য পরিবহন চালনা করতেই হবে। এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য আমারা প্রশাসনকে আহ্বান জানাই।

তিনি জানান, নর্থ বেঙ্গলের দুই একটি জায়গায় নাশকতার ঘটনা ঘটে। তাছাড়া সারা দেশে যানবাহন নিরাপদেই চলছে।

তিনি বলেন, আমরা পরিবহন না চালালে কিভাবে জীবিকা নির্বাহ করবো। আমাদের পরিবহন চালনা করতেই হবে। দূরপাল্লার বাসগুলোতে আমরা অতিরিক্ত হেলপার দিয়েছি। আগুন নির্বাপনকারী যন্ত্র দিয়েছি। এখন আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চাই সরকারের কাছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নাশকতাকারীরা ১৯ জন পরিবহন শ্রমিক হত্যা করেছে আগুনে পুড়ে।   এইসব ঘটনার হোতাদের কঠোর বিচার দাবি করছি।

এনায়েত উল্লাহ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের কাছে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ৭৪৪ টি দরখাস্ত জমা দেওয়া হয়েছে।

পরিবহন সেক্টরের এই নেতা দাবি করে বলেন, মহাসড়কে ৮০ ভাগ পরিবহন চলাচল করছে। ক্রম‍ান্নয়ে অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।