ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পুরির নাম খ্যাতা!

নাজমুল হাসান, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৫
পুরির নাম খ্যাতা!

ঢাকা: পুরান ঢাকার ঐহিত্যবাহী খাবারের সন্ধানে গিয়ে হঠাৎ খোঁজ মিললো খ্যাতা পুরির। নামটি শুনে প্রথমে একটু ভিরমি খেলাম।

ভালো করে শোনার চেষ্টা করলাম নামটি। নাহ! ঠিক শুনছি।

আলু পুরি, কিমা পুরি, ডাল পুরির নাম শুনলেও খ্যাতা পুরির নাম জানা ছিল না আগে। খেতে কেমন, ছিল না সে অভিজ্ঞতাও। আর তাই খ্যাতা পুরির স্বাদ ও রূপ কেমন নেমে পড়লাম সেই অভিযানে।

খবর নিয়ে জানা যায়, সন্ধ্যার আগে খ্যাতা পুরির দেখা মিলবে না। তাই সারা দিন ঘুরে সন্ধ্যা ৭টায় ফের পা রাখলাম পুরান ঢাকায়। লোকমুখে ডানে-বামে খ্যাতাপুরির খোঁজ করে নাজিমুদ্দিন রোডে ফজল মিয়ার ছোট্ট পিঠাঘরে দেখা পেলাম খ্যাতাপুরির।

১০ টাকা দিয়ে একটি খ্যাতাপুরি কিনে ‍নিলাম স্বাদ। মুখে দিয়ে চোখ বন্ধ হয়ে এলো। অবশ্য স্বাদ ভালো করে নেওয়ার জন্যই। আসলে এত সুস্বাদু যে লিখে বা বলে এর অতুলনীয় স্বাদ বুঝানো সম্ভব নয়। এর অতুলনীয় স্বাদ নিতে গেলে খেতে হবে।

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার খ্যাতাপুরি। অন্য সব পুরির থেকে এর স্বাদ ও গন্ধ আলাদা। আগে পুরান ঢাকার অনেক দোকানে এই খ্যাতা পুরির দেখা মিললেও বর্তমানে খুঁজে পাওয়া কষ্টকর।
 
খ্যাতাপুরির তৈরি প্রণালী ভিন্ন। প্রথমে নানা জাতের ডাল ও মরিচের মিশ্রণ তৈরি করা হয়। পরে সেটি আটার ভেতরে পুরে বেলন দিয়ে বেলে ছোট গোলাকার রুটির মতো তৈরি করা হয়। এরপর কড়াইয়ে হালকা তেলের প্রলেপে শুকনোভাবে সেঁকে ৩ থেকে ৫ মিনিটের মধ্যে খ্যাতাপুরি চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।

দোকান মালিক ফজল মিয়া (৩৮) বলেন, আগে খ্যাতাপুরি অনেক জনপ্রিয় ছিল সবার কাছে। এখন আর তেমন তৈরি হয়না। কারণ তেমন বিক্রি হয়না এই খাবারটি।

সবাই ফাস্টফুডের পেয়ে দেশি খাবারের কথা ভুলে গেছে। আমার বাবাও এই খ্যাতাপুরি তৈরি করতেন। আগে একদিনে ১ হাজার থেকে ২ হাজার পিস পুরি বিক্রি হতো। কিন্তু বর্তমানে ১ থেকে দেড়শো পিসের বেশি বিক্রি হয় না।

সময়ের পরিবর্তনে ও বিদেশি খাবারের ভিড়ে হয়তো এই ঐহিত্যবাহী খ্যাতাপুরিও বিলীন হয়ে যাবে একসময়। তবে যতদিন টিকে আছে, আরও বেশিদিন টিকিয়ে রাখতে খেতে ভুলবেন না স্বাদী খাবার খ্যাতাপুরি।

খ্যতাপুরি খেতে যেভাবে যাবেন
খ্যাতাপুরি খুব সহজে পেতে চাইলে সন্ধ্যার পর আজিমপুর থেকে অথবা পলাশীর মোড় থেকে রিকশা নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে এসে নিরব হোটেল খুঁজে বের করবেন। যদি নিরব হোটেল খুঁজে পেয়ে যান তাহলে দেখবেন নিরব হোটেলের বিপরীত দিকে ফজল মিয়ার পিঠা ঘর। সেখানে পেয়ে যাবেন খ্যাতাপুরি। এছাড়া পুরান ঢাকা ভিন্ন জায়গায় খোঁজ করলেও খ্যাতাপুরির স্বল্প সংখ্যক দোকান পেয়ে যেতে পারেন।

খ্যাতাপুরি খুব সহজে পেতে চাইলে সন্ধ্যার পর আজিমপুর থেকে অথবা পলাশীর মোড় থেকে রিকশা নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে এসে নিরব হোটেল খুঁজে বের করবেন। যদি নিরব হোটেল খুঁজে পেয়ে যান তাহলে দেখবেন নিরব হোটেলের বিপরীত দিকে ফজল মিয়ার পিঠা ঘর। সেখানে পেয়ে যাবেন খ্যাতাপুরি। এছাড়া পুরান ঢাকা ভিন্ন জায়গায় খোঁজ করলেও খ্যাতাপুরির স্বল্প সংখ্যক দোকান পেয়ে যেতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।