ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

খালেদার কার্যালয়ে ফ্রিজ-কাঁটাতার

সাব্বির আহমদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৫
খালেদার কার্যালয়ে ফ্রিজ-কাঁটাতার

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে আনা হয়েছে কাঁটাতার ও একটি বড় আকারের রেফ্রিজারেটর।

শনিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাঁটাতার ও রাত ৯টার দিকে একটি রেফ্রিজারেটর কার্যালয়ের ভিতরে নেওয়া হয়।



বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দীন দিদারের কাছে কাঁটাতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাসার বাড়তি নিরাপত্তায় দেয়ালে বেড়া দেওয়ার জন্য কাঁটাতার নিয়ে আসা হয়েছে।

তবে কার্যালয়ে অবস্থানরত খালেদার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কাঁটাতার খালেদার বাসার পক্ষ থেকে এনে রাখা হয়েছে জানালেও কবে কখন কোথায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে সে সম্পর্কে কিছু বলেননি।

অন্যদিকে ফ্রিজ বহনকারী ভ্যানের সঙ্গে আসা কোম্পানির ম্যানেজার পরিচয় দেওয়া রোকন উদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, কার্যালয়ের ভিতরে অবস্থানরত ইঞ্জিনিয়ার আমিন নামের একজন ফ্রিজটি আনতে বলায় তারা এখানে নিয়ে এসেছেন।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একটি মিনি ট্রাকে করে কার্যালয়ে প্রথমে নিয়ে আসা হয় কাঁটাতার। রাখা হয় বাসার নিচে।

পরে রাত ৯টায় একটি ভ্যানে করে ৪৮ হাজার টাকা দামের ৪৭ কেজি ওজনের একটি রেফ্রিজারেটর আনা হয়। এটিও খালেদার অফিসের পক্ষ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।

হিটাচি ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটরটি পুলিশের নিরাপত্তা তল্লাসি শেষে পেছনের গেট দিয়ে বাসার দোতলায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলতে শোনা গেছে কর্মচারীদের মুখে।

রেফ্রিজারেটরটি আনা হলে পুলিশের একজন সদস্য এর ওজন, রং, দাম প্রভৃতি তথ্য একটি নোটবুকে লিখে রাখেন। রেফ্রিজারেটরটি বাসায় রাখার সময় শুধু ভ্যানচালককে ঢুকতে দেওয়া হয়। তার সঙ্গে থাকা টেকনিশিয়ানকে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ।

গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একমাসেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান করছেন। ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনের ঘোষণায় উত্তেজনার মধ্যে গত ৩ জানুয়ারি 'অবরুদ্ধ' হন খালেদা জিয়া। ১৬ দিন পর গত ১৯ জানুয়ারি পুলিশের প্রতিবন্ধকতা উঠে যায়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিনি যেখানে খুশি যেতে পারেন। কোনো বাধা নেই। তবু তিনি তার কার্যালয় ছাড়ছেন না।  

এখানে অবস্থান করার সময়ই পুত্র হারিয়েছেন খালেদা জিয়া। তাকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফটক থেকে ফিরে আসেন। এরপর এক রাত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় তার কার্যালয়ের। ২০ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ দেওয়া হলেও এখনও ইন্টারনেট ও কেবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন খালেদা জিয়ার কার্যালয়।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।