রাবি(রাজশাহী): রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০ সালে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন হত্যকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত শিবির ক্যাডারদের ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।
‘শহীদ ফারুক দিবস’ উপলক্ষে রোববার দুপুর ২টায় ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানার সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লবের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মোমিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি আবুল কাশেম, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক পিএম সফিকুল ইসলাম, ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু, নিহত ছাত্রলীগ কর্মী ফারুকের বড় বোন আসমা বেগম ও ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুল আলম রতনের বাবা আব্দুল গফুর প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দলীয় টেন্ট থেকে শোকর্যালি বের করা হয়। প্রায় পাঁচশতাধিক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে শোকর্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ও ভবন প্রদক্ষিণ করে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে শিবিরের রাতভর সংঘর্ষ চলে।
ওই রাতে শিবির ক্যাডারদের হাতে খুন হয় রাবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও গণিত বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন। শিবির ক্যাডাররা তাকে নির্মমভাবে খুন করার পর লাশ সৈয়দ আমীর আলী হল সংলগ্ন মানহোলে ফেলে রাখে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৫