ঢাকা, শুক্রবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর হচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৫
টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর হচ্ছে ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকা: নীতি প্রণয়নে কারিগরি ও পেশাগত সহায়তা দিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার(০৯ ফেব্রুয়ারি’২০১৫) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।



বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের এতথ্য জানান।

অধিদপ্তর করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় না আসলেও বিষয়টি `গুরুত্বপূর্ণ’ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে প্রধানমন্ত্রী থাকায় মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

‘দ্য বাংলাদেশ ট্রেলিগ্রাফ অ্যান্ড টেলিফোন বোর্ড অর্ডিন্যান্স-১৯৭৯’ এর আওতায় বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড (বিটিটিবি) গঠিত হয়েছিল।

২০০৮ সালে ওই অর্ডিন্যান্সে দুটি ধারা সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিফোন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড(বিএসসিসিএল) গঠন করা হয়। পরবর্তীতে নবম জাতীয় সংসদে অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করা হয়।

২০০৮ সালের সংশোধন অনুযায়ী বিটিটিবিকে বিলুপ্ত করে এর দায়-দেনা বিটিসিএলের কাছে ন্যস্ত করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিসিএস টেলিকমিউনিকেশন্স ক্যাডারের কর্মকর্তা দিয়ে বিটিটিবি পরিচালিত হতো। বিটিটিবি বিলুপ্ত করে বিটিসিএল গঠিত হওয়ার পর টেলিকমিউনিকেশন্স ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ ডেপুটিশেনে বিটিসিএলে চলে যায়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিটিটিবি বিলুপ্ত করে বিটিসিএল গঠন করে সেখানে বাধ্যতামূলক ন্যস্ত করায় তারা মামলা করেন। যারা বিসিএস টেলিকম ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন, তারা হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে আর একটি মামলা করেন।

এমন জটিল পরিস্থিতিতে তৎকালীন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দেয় সরকার। ওই কমিটির সুপারিশ ছিল টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিটিটিবি রেগুলেটর ও অপারেটর থাকলেও বিটিআরসি গঠিত হওয়ার পর রেগুলেশনের দায়িত্ব চলে গেল বিটিআরসিরি কাছে। আর অপারেশনের দায়িত্ব পেল বিটিসিএল।

টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর নীতি প্রণয়নে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে পেশাগত ও কারিগরি সহায়তা দেবে।

পাশাপাশি যারা ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করছে তাদেরও জটিলতার অবসান ঘটবে। কারণ তারা টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের আওতায় কাজ করবেন।

অধিদপ্তরের পরিধি খুব বেশি বড় হবে না জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একজন মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং পরিচালক ছাড়াও প্রথম শ্রেণির ৮১টিসহ ২৩৮টি স্থায়ী পদ থাকবে। আর পর‌্যায়ক্রমে কিছু পদ বিলুপ্ত করা হবে। তারা অবসর নিলে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে না, এমন সাত হাজার ৫৩৬টি পদ রয়েছে। এতে কেউ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, সরকারের চিরস্থায়ী সমস্যাও হবে না।

টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর ২১টি কাজ করবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৫/আপডেটেড- ১৪২৩ ঘণ্টা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।