ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নারী ভোটার হ্রাস

কারণ খুঁজতে ইসির ফের নির্দেশনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৫
কারণ খুঁজতে ইসির ফের নির্দেশনা

ঢাকা: হালনাগাদ কার্যক্রম শেষে প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নারী ভোটার অন্তর্ভুক্তির হার কম হওয়ায় এর কারণ খুঁজতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ফের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এ ক্ষেত্রে যেসব উপজেলায় ভোটার অন্তর্ভুক্তির হার ৪৫ শতাংশের কম, সে সব উপজেলায় সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করবেন কর্মকর্তারা।


 
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মাহফুজা আক্তার সম্প্রতি সব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ওই নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, যে সব উপজেলায় নারী ভোটার অন্তর্ভুক্তির হার ৪৫ শতাংশ, তার নিচে, সে সব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা প্রতিটি নিবন্ধন ফরম যাচাই করবেন। এছাড়া প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানবেন, ভোটারযোগ্য নারী কত, কেউ বাদ পড়েছেন কিনা ও মৃত ভোটারের নাম কর্তন করা হয়েছে কিনা।

পর্যালোচনার পর এ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট উপজেলায় সবচেয়ে কম নারী ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, এমন দুটি ভোটার এলাকায় এ কাজ চলবে। সারাদেশে ৪৮৭টি উপজেলায় এক লাখ ভোটার এলাকা রয়েছে।
 
সম্প্রতি, ইসি প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের মোট ভোটার হলো ৯ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫২ জন। এদের মধ্যে ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৫১ হাজার ৬৪২ জন পুরুষ ভোটার। আর নারী ভোটার ৪ কোটি ৭৭ লাখ ৪৭ হাজার ১০ জন, যার অনুপাত হচ্ছে ৫০.৩৭ : ৪৯.৬৩ ।

আগে দেশে মোট ভোটার ছিলেন ৯ কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার ৫৩১ জন। মৃত্যুজনিত কারণে ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫২৯ জনের নাম কর্তন করা হয়। আর নতুন ভোটার হয়েছেন ৪৬ লাখ ৯৫ হাজার ৬৫০ জন।

নতুনদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৬ লাখ ২৯ হাজার ৫০৬ জন। আর নারী ভোটার ২০ লাখ ৬৬ হাজার ১৪৪ জন, যার অনুপাত হচ্ছে ৫৬:৪৪; যা ‘আশঙ্কাজনকহারে’ কম।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান জানান, আগেও খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের আগে গত বছর সেপ্টেম্বরে নারী ভোটার হ্রাসের কারণ খুঁজতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিল ইসি। কিন্তু, তদন্তের পর কর্মকর্তাদের পাঠানো প্রতিবেদন যথাযথ হয়নি। এজন্য আবারও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
 
সে সময় ৩০টির মতো উপজেলায় সরেজমিন তদন্ত করা হয়েছিল। এরপর কর্মকর্তারা নারী ভোটার হ্রাসের আটটি কারণ চিহ্নিত করেছিলেন।

এগুলো হলো- বাল্যবিবাহ রোধ, জন্মসনদ সংগ্রহ করতে না পারা, ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি ভয়, বয়স গোপনের প্রবণতা, কর্মস্থলে বসবাস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বা উচ্চশিক্ষার জন্য শহরে গমন, জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার হওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অজ্ঞতা বা সচেতনতার অভাব, শ্বশুর বাড়ির সম্পদে অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিয়ের পর হিন্দু নারীদের ভোটার হওয়ার প্রবণতা হ্রাস।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।