ঢাকা: রাজনৈতিক পরিচয় আড়াল করে নিহত ছাত্রদল নেতার অাত্মীয় পরিচয়ে গুলশানে আসেন নিশিথা। পুলিশের কথা শুনে সিএনজি অটোরিকশায় বসে থাকলে হয়তো আজ গুলশান থানায় যেতে হতো না।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় নিহত ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনির স্ত্রী মনিষা সঙ্গের তরুণীকে পরিচয় করিয়ে দেন খালাতো বোন হিসেবে। তবে নাম বলেননি। তখনো সিএনজি অটোরিকশায় জনির পুরো পরিবার।
গুলশান বিএনপির কার্যালয়ে দায়িত্বরত পুলিশ বারবার বলেন, ‘ভেতর থেকে অনুমতি আসলে প্রবেশ করতে পারবেন। আপনারা সিএনজিতে বসুন। ’ তবে মনিষা অন্তঃসত্ত্বা থাকায় শ্বশুর-শাশুড়ি-মা কেউই আর অপেক্ষা করতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে সন্তান হারানোর কথা বলে এবং খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা না করে যাবেন না বলে বেশ উচ্চৈঃস্বরে চড়াও হন জনির বাবা ইয়াকুব অালী।
এবার অটোরিকশা থেকে নেমে আসলো পুরো পরিবার। ৫ জন মহিলার ৪ জনের পারিবারিক সর্ম্পক জানা গেলেও মনিষাকে ধরে রাখা সুন্দরী খালাতো বোনের নাম জানা যাচ্ছিলো না।
কার্যালয়ের গেটে ৬ জন দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকলেন। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বারবার বলতে থাকেন সিএনজি অটোরিকশায় বসে অপেক্ষা করার জন্যে। পুলিশের কথা শুনলে হয়তো আর নিজের পায়ে কুড়াল মারা হতো না নিশিথার। এবার কিন্তু এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার চোখে পড়ে যান নিশিথা। দায়িত্বরত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান তিনি।
এরপর সিএনজি অটোরিকশায় বসতে অনুরোধ জানানো বন্ধ করে দিলো পুলিশ। বরং মহিলা পুলিশের জন্যে অপেক্ষা শুরু হলো। এরমধ্যেই গেটে দাঁড়িয়ে খালেদার সঙ্গে দেখা করতে না দেয়ার জন্যে ক্ষোভ ঝাড়ছিলেন ইয়াকুব অালী।
১৫ মিনিটের মধ্যে গুলশান থানার গাড়িসহ ৪ জন নারী পুলিশ চলে অাসে। পরিবার থেকে অালাদা করে নেয়া হয় নিশিথাকে। ধরা পড়ে গেলেন ছাত্রদল নেত্রী।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জানুয়ারি দিবাগত রাতে খিলগাঁও এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনি নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৪, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৫