ঢাকা: কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়, ‘দেবে আর নেবে, মিলিবে মেলাবে। ’ ১৪ ফেব্রুয়ারিই কি সেই দিন? তবে এইটুকু বলা যায়, বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের এক অন্যরকম দিন, দিনটি শুধু ভালোবাসার।
দিনটি বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপানের জন্য বিশ্ববাসীর সাথে তাল মিলিয়ে বাঙালিও নিশ্চয় কার্পণ্য করছে না। তবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ১১তম আসরের উদ্বোধন এবার ভালোবাসা দিবসে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
বসন্তের হাওয়া গায়ে লাগিয়ে ভালোবাসার মাতামাতিতে অগোচরেই থেকে যায়ে আরও একটি দিবস।
১৯৮৩ সালের এদিনে স্বৈরশাসনের প্রতিবাদে মজিদ খানের শিক্ষানীতি বাতিল, সামরিক শাসন প্রত্যাহার, অস্প্রাদায়িক শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের দাবিতে সংগ্রাম করতে গিয়ে ঢাকার রাজপথে পুলিশের গুলিতে জীবন দেন জাফর, জয়নাল, দিপালী, মোহাম্মদ আইয়ূব, মোজাম্মেল হোসেন নামের টকবগে তরুণরা। তারপর থেকেই ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচারী প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। সেই আন্দোলনের জের ধরেই নব্বইয়ের গণআন্দোলন অতঃপর গণতন্ত্র মুক্তি লাভ করে।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের পাশাপাশি আমরা যেন দেশীয় এই আত্মদানকারীদের ভুলে না যাই।
এবছর একই দিনে শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে এগারোতম ক্রিকেট বিশ্বকাপ আসর। সেই বিশ্বকাপের বাঁশি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ‘ক্রিকেট জ্বরে কাঁপছে দেশ, গর্জে উঠবে বাংলাদেশ’ এই স্বপ্নটাও মনের ভেতর উঁকি দিচ্ছে
একই দিনে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, স্বৈরাচারী প্রতিরোধ দিবস আবার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ।
সব মিলেয়ে উৎসব পাগল বাংলাদেশিদের জন্য এক ত্রিমাত্রিক অনুভূতি।
বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৫