ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

অতিরিক্ত ফি: ভুক্তভোগীদের সাড়া নেই

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫
অতিরিক্ত ফি: ভুক্তভোগীদের সাড়া নেই

ঢাকা: ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি ফেরতে উচ্চ আদালতের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিলেও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর কমার ভয়ে শিক্ষার্থীরা বোর্ড বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অভিযোগ দিচ্ছে না বলে দাবি করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।



আর অতিরিক্ত ফি নেওয়ায় ইতোমধ্যে অন্তত তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শাতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত ৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যেসব বিদ্যালয় ফরম পূরণ বাবদ শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত ফি নিয়েছে- তা ২০ জানুয়ারির মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দেন।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত না দেওয়া হলে সেই স্কুলের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি বাতিল ছাড়াও বাতিলকৃত কমিটির সদস্যরা আগামী তিন বছর কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বা মনোনীত হতে পারবেন না বলেও আদেশ দেওয়া হয়।

আদালতের নির্দেশের পর গত ১৪ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত ফি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব গৌতম কুমার বাংলানিউজকে বলেন, অতিরিক্ত ফি ফেরত না দেওয়ায় ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জ ইউসি উচ্চ বিদ্যালয়, ভালুকা উপজেলার সোনাউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়, পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বৈরাতী উচ্চ বিদ্যালয়কে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

এসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল এবং ম্যানেজিং কমিটি কেন ভেঙে দেওয়া হবে না- তা জানাতে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাওয়া হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, অতিরিক্ত ফি নেওয়া হচ্ছে কি না- তা জানতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চারটি পর্যবেক্ষক দলও গঠন করেছে। তথ্য সংগ্রহে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডকেও চিঠি দেওয়া হয়।

৩১ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিবের (মাধ্যমিক-১) কাছে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট বোর্ড ও ভুক্তভোগীদের কাছে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান একজন কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (মাধ্যমিক-১) এ কে এম জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আদালত ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও নতুন করে আর কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ করেননি। তথ্য পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে অভিযোগের যথাযথ জবাব না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করে চুক্তিভিত্তিক কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে অতিরিক্ত ফি’র চেয়ে হরতাল-অবরোধে পরীক্ষা হচ্ছে কি না- সেটাই গুরুত্ব দিচ্ছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

বাংলাদেশ সময়: ০২০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।