ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সংকট নিরসনে চাই ঐকমত্যের জাতীয় সনদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫
সংকট নিরসনে চাই ঐকমত্যের জাতীয় সনদ ছবি: কাশেম হারুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেছেন, বর্তমানে দেশে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, সেটি নিরসনে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সনদ তৈরি করতে হবে।
 
শনিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের সামনে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ আহবান জানান।


 
এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, বর্তমানে দেশের সমস্যার সমাধান সংলাপ ছাড়া হবে না। দেশের  সমস্যা ঘণীভূত হয়েছে, সংলাপ এখনই জরুরি।
 
সুজনের নির্বাহী সদস্য ড. হামিদা হোসেন বলেন, সহিংস রাজনীতির কারণে আজকে সাধারণ মানুষ পুড়ছে। বাস-ট্রাকের চালক ও সহকারীরা পুড়ছে। আমরা দেশের শান্তি চাই। এ সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।
 
বাংলাদেশের  রাজনীতি দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
 
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বিশিষ্ট নাগরিকদের নেওয়া সংলাপের উদ্যোগ ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
 
বাংলাদেশ নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এটা আমাদের দেশ ও রাজনীতিবিদদের জন্য ভালো নয়। সংকট নিরসনে সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে। প্রতিপক্ষকে রাজনীতি করার সুযোগ দিতে হবে। দেশের মধ্যে যে সহিংসতা চলছে তা বন্ধ করতে হবে।
 
সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতায় ৯০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। মৃত্যর কাফেলা দিন দিন বেড়েই চলেছে। একদল লাশ ফেলছে অপর দল লাশ নিয়ে রাজনীতি করছে, এটা বন্ধ হতে হবে। সহিংসতা অতিদ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার।
 
তিনি আরও বলেন, বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডও বন্ধ করতে হবে। দেশের শান্তি ফিরিয়ে আনতে সংলাপে বসতে হবে। ৫ জানুয়ারির ‘একতরফা নির্বাচনের’ কারণে দেশের সংকট তৈরি হয়েছে।
 
রাষ্ট্রপতিকে সংলাপের আয়োজন করে রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবে নিরসন করার আহবানও জানান সুজন সম্পাদক।
 
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স। ৮ দফা দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশে এ মানববন্ধন করে সুজন।
 
দাবিগুলো হলো- আন্দোলনের নামে নাশকতা-সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কঠোর হাতে দমন ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, অবিলম্বে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ, অচলাবস্থা নিরসনে অবিলম্বে জাতীয় সংলাপের আয়োজন, রাজনৈতিক সংকটের টেকসই সমাধানে জাতীয় সনদ প্রণয়ন, দ্রুত দণ্ড কার্যকর করাসহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণসহ রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং রাজনৈতিক হয়রানি বন্ধ করা।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।