ঢাকা, রবিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

স্বাস্থ্যনীতিতে পারিবারিক চিকিৎসা ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্তির দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫
স্বাস্থ্যনীতিতে পারিবারিক চিকিৎসা ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্তির দাবি ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পারিবারিক চিকিৎসা ব্যবস্থা বা ফ্যামিলি মেডিসিনকে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ একাডেমি অব ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান।
 
রোববার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এ দাবি জানান।


 
সংগঠনের সেক্রেটারি ডা. মো. নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, পারিবারিক চিকিৎসা ব্যবস্থা হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যেখানে একজন ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান দীর্ঘদিন ধরে রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। যার ফলে কোনো রোগ হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়া হঠাৎ কোনো সঙ্কটপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হলে পূর্বাভিজ্ঞতার আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। যার ফলে একদিকে যেমন চিকিৎসা ব্যয় কমে, অন্যদিকে রোগীর মৃত্যুঝুঁকিও কমে যায়।
 
কেবল দক্ষিণ এশিয়ায় এ চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যবহার কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীর সব উন্নত দেশেই এ ফ্যামিলি মেডিসিন চালু রয়েছে। তবে বিভিন্ন দেশের মতো এদেশেও ফ্যামিলি মেডিসিন পদ্ধতি সীমিত আকারে অনেক পরিবারে চালু রয়েছে। কিন্তু এর কোনো সরকারি ও সামাজিক কোনো স্বীকৃতি নেই।
 
এ পদ্ধতির ব্যাখ্যা দিয়ে ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মানুষ অসুস্থ হলে সাধারণত এমবিবিএস পাশ করা কোনো ডাক্তার বা জেনারেল প্রাকটিশিয়ানদের কাছে যান। তারা রোগীকে পরীক্ষা করে অন্য কোনো ডাক্তারকে রেফার করেন। কিন্তু ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানরা সাধারণ প্রাকটিশিয়ানদের চেয়ে উন্নত ডিগ্রিধারী হলেও, তাদের জন্য রেফারেল পদ্ধতি চালু নেই।

অথচ রোগীরা যদি একজন ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানের কাছে আসেন, তবে তিনি সবচেয়ে ভালো প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ দিতে পারেন। অর্থাৎ ফ্যামিলি মেডিসিন হচ্ছে এমন এক পদ্ধতি, যা সব রোগের একটি সমন্বিত জ্ঞান। যে পদ্ধতিতে একজন ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানই কেবল চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। কিন্তু সরকার এ বিষয়টি নিয়ে এখনো আন্তরিক নয়।
 
রোগীর ব্যয় ও জীবন বাঁচাতে এ পদ্ধতি চালু অতি জরুরি, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, যুগের দাবিতে ফ্যামিলি মেডিসিন ব্যবস্থা জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে অধিভুক্ত করা দরকার। এছাড়া এ শিক্ষা ব্যবস্থা স্নাতকপূর্ব ডাক্তারি শিক্ষা কার্যক্রমেও চালু করা উচিত।
 
বর্তমানে আমেরিকা, বৃটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, কোরিয়া, হংকং, ইন্দোশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলংকায় এ চিকিৎসা পদ্ধতি চালু রয়েছে বলেও তিনি জানান।
 
এসময় অন্যদের মধ্যে আয়োজক সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ডা. আইনুন ইসলাম চৌধুরী, সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. কানু বালা, কোষাধক্ষ্য ডা. মো. ইন্নামিন, ডা. মো. আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশে সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।