ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সোমবার আসছেন ইইউ প্রতিনিধি দল

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৫
সোমবার আসছেন ইইউ প্রতিনিধি দল

ঢাকা: মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকা আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকার বিষয়ক সংসদীয় উপ কমিটির প্রতিনিধি দল। সোমবার ঢাকা পৌঁছাবেন তারা।


 
গত দুই দশকে এটাই ইউরোপীয় সংসদীয় মানবাধিকার বিষয়ক উপ কমিটির প্রথম বাংলাদেশ সফর। ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
 
সূত্র জানায়, ইউরোপীয় সংসদীয় মানবাধিকার বিষয়ক উপ কমিটির সভাপতির নেতৃত্বে পাঁচ দিনের সফর ঢাকা আসছে চার সদস্যের এ প্রতিনিধি দল। রাজনৈতিক অধিকার, গণতান্ত্রিক চর্চা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বাংলাদেশে শিল্পগুলোতে শ্রম অধিকারসহ বাংলাদেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে প্রতিনিধি দলটি।  
 
বাংলাদেশ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদের বিরোধী দলের নেতা জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা।
 
জানা যায়, বাংলাদেশ সফরকালে প্রতিনিধি দলটি বেশ ব্যস্ত সময় পার করবেন। চলমান সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতান্ত্রিক সমাজে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বিচার বহির্ভূত হত্যা, আইনের শাসন, শিল্পখাতে শ্রম অধিকারসহ সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে প্রতিনিধি দলটি।
 
ইইউ’র মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিনিধি দলের সফর নিয়ে সরকার তেমন একটা বিচলিত নয় বলে জানালেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা। সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, দেশে চলমান সহিংসতা এবং বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি জন্য দায়ী বিরোধী পক্ষ। বিষয়টি ইতোমধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের এক কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে তুলে ধরেছেন।  
 
এছাড়া, ২০১৪ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর বিএনপির অধীনে থাকা জামায়াত এ সহিংসতা করছে বলে ইইউ’র সংসদে এক রেজুলুশনও পাশ করেছে। এছাড়া ইইউ সংসদ বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করারও পরামর্শ দিয়েছে। তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অহ্বান জানিয়েছে। যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বক্তব্য। ফলে সরকার এ বিষয়ে বিচলিত নয়। তবে শ্রমিকদের শ্রম অধিকার নিশ্চিত নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি থাকলেও তা নিয়ে বর্তমানে সরকার কাজ করছে বলে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা।  
 
তবে কূটনীতিকরা বলছেন, প্রতিনিধি দলটি ঢাকা এসে তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই করে প্রতিবেদন তৈরি করবেন। ওই প্রতিবেদন মূল্যায়ন করে বাংলাদেশের সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। ফলে আগের নেওয়া রেজুলেশন থেকে সরে আসতে পারে ইউরোপীয় সংসদ। এছাড়া চলমান সহিংস পরিস্থিতি, গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থিরতার বিষয়টি নতুন করে উদ্ভব হয়েছে। এ কারণে সহজ করে দেখলেও সফরটি সরকারের খুব একটা স্বস্তির কারণ হবে না।
 
জানা গেছে, এর আগে শ্রমিক অধিকারকে খুব একটা গুরুত্ব দিতো না ইইউ। তবে, তাজরিন অগ্নিকাণ্ড এবং রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বিষয়টিতে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। ইউরোপের বাজারে ‘জিএসপি প্লাস’ পাওয়ার ক্ষেত্রে শ্রম অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাতিসংঘের সবগুলো সনদ সইয়ের ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছে ইইউ। আর এ সবগুলো সনদেই মানবাধিকার সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা,  ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।