ঢাকা: রোববার রাত ৭টা ২৫ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে হঠাৎ করে হাজির হন সঙ্গীত শিল্পী বেবী নাজনীন। সাদা রঙের প্রাইভেটকারে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন বড় একটি খাবারের পট, স্যুপ ও দই।
কার্যালয়ের প্রবেশ পথেই নিরাপত্তা বাহিনী ভেতরে প্রবেশ না করে তাকে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করে। এরপরও নাছড়বান্দা বেবী নাজনীন। ভেতরে প্রবেশের জন্য প্রায় ৩০ মিনিট ধরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুমতি চান তিনি।
বেবী নাজনীন তাদের বলেন, আমি আমার মায়ের জন্য দই, স্যুপ ও খাবার নিয়ে এসেছি। আমি বিদেশে ছিলাম। মা অনেক দিন ধরে না খেয়ে আছেন। মাকে খাওয়ানোর পর আমি চলে যাবো। আমি একজন সঙ্গীত শিল্পী। এখানে এসেছি খালেদা জিয়ার মেয়ে হিসেবে। আমাকে ভেতরে যেতে দিন। মা না খেয়ে কতদিন বাঁচবে।
আমি কোনো রাজনীতি করতে আসিনি। নিজের হাতে মাকে স্যুপ খাওয়াতে এসেছি। মা এমনিতেই অসুস্থ, তাকে এক নজর দেখে আসবো। আপনারা চাইলে আমাকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিতে পারেন। আমি আপনাদেরই একজন শিল্পী। আপনাদের কত গান শুনিয়েছি আমাকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিন। ’
প্রায় আধাঘণ্টা পরে নারী পুলিশ সদস্যরা তাকে গাড়িতে করে গুলশান থানায় নিয়ে যায়। পরে, রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয় গুলশান থানা পুলিশ।
কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাসাসের একনিষ্ট কর্মী। গুলশানে পুলিশের পক্ষ্য থেকে বারবার অনুরোধ করা হলেও পুলিশের কথা শুনেননি এই কণ্ঠ শিল্পী। যে কারণে আটক হন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৫