ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

হরতালের ‘বারোটা’ বাজিয়েছেন খালেদা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৫
হরতালের ‘বারোটা’ বাজিয়েছেন খালেদা ছবি: রাজিব/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: খালেদা জিয়া হরতালের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
 
সোমবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার ৭৩তম জন্মদিন, স্বর্ণপদক প্রদান ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।


 
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
 
মন্ত্রী বলেন, হরতাল-অবরোধে বড় ট্রাফিক জ্যামে পড়েছি। খালেদা জিয়াকে বিএনপি নেত্রী বলতেও লজ্জা লাগে। হরতাল ডেকে নিজের অফিসে নিজে তালা মেরে বসে রয়েছেন।
 
তিনি বলেন, হরতালে রাস্তায় অনায়াসে গাড়ি চলছে। এরপর আমরা হরতাল দিলে মানুষ তো প্রত্যাখ্যান করবে। হরতালের ‘বারোটা’ বাজিয়েছেন খালেদা জিয়া। আমাদের আন্দোলনের অন্য পথ খুঁজতে হবে।
 
হরতাল ডাকছে বিএনপি, রাস্তায় থাকছি আমরা। হরতাল ডেকে খালেদা জিয়া তার ঘরে আছেন। হরতাল ঠেকাতে খালেদা জিয়ার ঘরে হানা দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
 
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কিসের জন্য কি আন্দোলন করেন, তা মাথায় ধরে না। গণতন্ত্রের নামে মানুষ পোড়ার আন্দোলন করছেন।

তিনি বলেন, এতো অত্যাচার আর সহ্য হয় না। একটি বৃহৎ দল হিসেবে বিএনপি আন্দোলন ডাকলেও তাদের একজন নেতাকর্মী রাস্তায় নেই।
 
আমরা (সরকার) হরতাল-অবরোধ প্রতিহত করতে গিয়ে দেখি রাস্তায় সব আওয়ামী লীগের লোক।
 
আন্দোলন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ২২ বছর আন্দোলন তো আমরাও করেছি। পুলিশ দেখে রাস্তা থেকে পালিয়ে যাইনি। আওয়ামী লীগের নেতাদের পুলিশ পিটিয়ে রাস্তায় শুয়ে রেখেছে। এরপরও রাস্তা ছাড়ি নাই। বিএনপি নেতারা কিভাবে আন্দোলন করবেন?
 
বিশেষ অতিথি সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেন, আমরাও মানুষের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করেছি, কিন্তু রাস্তা ছাড়ি নাই।
 
এখন এক অদ্ভূত আন্দোলন দেখছি, যে আন্দোলন ডেকে সন্ত্রাসী দিয়ে তা পালন করে। মানুষ হত্যা করে নাকি মানুষের অধিকার আদায় করবে?
 
সংলাপ সম্পর্কে তিনি বলেন, পৃথিবীতে কোনো নজির নেই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপের। তাহলে যেকোনো বিরোধী দল সন্ত্রাসী দিয়ে আন্দোলন করাবে।
 
ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নূর বলেন, ওয়াজেদ মিয়া দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন।
 
সন্ত্রাসের আগুনে পুড়ে মানুষ দগ্ধ হয়, আর জ্ঞানের আগুনে পুড়ে মানুষ বিদগ্ধ হয় বলেও মন্তব্য করেন নূর।
 
সংগঠনের সভাপতি একেএম ফরহাদুল কবির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার‌্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, ভাষাসৈনিক ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. জসিম উদ্দিন আহমেদ প্রমূখ।
 
অনুষ্ঠানে সাত বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ড. ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।