ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

এরশাদের কার্যালয় সরানোর দাবি, সংসদে হইচই

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৫
এরশাদের কার্যালয় সরানোর দাবি, সংসদে হইচই

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: গুলশান-বনানী এলাকা থেকে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় সরানোর পাশাপাশি এরশাদের কার্যলায়ও সরানোর দাবি করেছেন বিএনএফ প্রেসিডেন্ট এস এম আবুল কালাম আজাদ। এ নিয়ে সংসদে উত্তেজনা ও বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।



এক পর্যায়ে বিএনএফ প্রেসিডেন্টের দিকে তেড়ে যান জাতীয় পার্টির লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সদস্য মো. নোমান। জাতীয় পার্টির অন্যান্য সদস্যরাও ক্ষুদ্ধ হয় ওঠেন।

পরে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বিএনএফ প্রেসিডেন্টের বক্তব্য যাচাই-বাছাই করে অসংসদীয় শব্দ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
 
এ সময় সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না। তবে সরকার দলীয় ট্রেজারি বেঞ্চে ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

সোমবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এস এম আবুল কালাম আজাদ গুলশান-বনানী এলাকা থেকে সব রাজনৈতিক কার্যালয় সরানোর দাবি করেন।
 
আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমর নির্বাচনী এলাকাতেই বিএনপির কার্যালয়। এই কার্যালয় থেকেই নাশকতা, অপরাজনীতি, বোমাবাজি ও সন্ত্রাসের রাজনীতি পরিচালিত হচ্ছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে খালেদার কার্যালয় সরিয়ে নেওয়া না হলে, ওই বাড়ির সামনে এলাকার জনগণকে নিয়ে অবস্থান নেব। খালেদার কার্যালয়ে প্রবেশ করে অবস্থানকারীদের নিয়েই বের হব।

তিনি আরও বলেন, গুলশান-বনানীতে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদেরও রাজনৈতিক কার্যালয় আছে। তাই গুলশান-বনানীর কূটনৈতিক এলাকা থেকে বিএনপির কার্যালয়, এরশাদের জাতীয় পার্টির কার্যালয়সহ সব রাজনৈতিক কার্যালয় অপসারণ করতে হবে।
 
এ সময় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা সমস্বরে প্রতিবাদ জানালে সংসদ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় আবুল কালাম আজাদ ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, পোষ্য বিরোধী দলের এত বড় বড় কথা মানায় না।

এরপর জাতীয় পার্টির কয়েকজন সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদকে উদ্দেশ্য করে নানা মন্তব্য করেন, দু’একজনকে তার দিকে তেড়ে যেতেও দেখা যায়। পরে চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ পরিস্থিতি শান্ত করেন।
 
বিএনএফ প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে কথা বলতে শুরু করেন জাতীয় পার্টির সদস্য মো. শওকত চৌধুরী। তিনি বলেন, কী দল তা আমি চিনি না। বিএনএফ না কি যেন। এরশাদ সাহেব মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে তিনি এমপি হতে পারতেন না। তার এমপি হওয়ার জন্য এরশাদের অবদান রয়েছে।
 
এরপর কথা বলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
 
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার অফিস আর এরশাদের অফিস এক নয়। খালেদা জিয়া অফিস থেকে সন্ত্রাস বোমাবাজির নির্দেশ দিচ্ছেন। আমরা উদ্বেগ উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে যাচ্ছি শুধু। কিন্তু কোথায় অ্যাকশন। কোন পদক্ষেপ তো নেওয়া হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, আমরাই প্রথম পেট্টোল বোমা-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তির মিছিল করেছি। সারাদেশের মানুষ শঙ্কা ও আতঙ্কের মধ্যে অবস্থান করছে। আমরা এর অবসান চাই।
 
বাবলু বলেন, আজ ১৫ লাখ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারছে না। আমরা সবাই মিলে এমন সন্ত্রাস-সহিংসতার অবসান করতে চাই। ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বড় বড় দেশে সেনাবাহিনী নামিয়ে, প্রয়োজনে সন্ত্রাসীদের গুলি করে দমন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে কেন করা হচ্ছে না?  হত্যার রাজনীতি রাজনীতিকে হত্যা করে। খালেদা জিয়া দেশের রাজনীতিকেই হত্যার মিশনে নেমেছেন।
 
বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে জিয়া উদ্দিন বাবলু বিএনএফ প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থণা করতে বলেন।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৫/ আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা

** খালেদাকে ভোটের রাজনীতিতে ফেরার আহ্বান রওশনের
** যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ বিল পাস
** দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ কবরস্থান হবে রায়ের বাজারে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।