ঢাকা: সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নেতাদের মধ্যে তারকা নেতা। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তিনিই দেশকে অগ্রযাত্রায় নিতে যেতে পারবেন।
সোমবার(১৬ ফেব্রুয়ারি’২০১৫) সন্ধ্যায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি মোহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি পরিষদ।
মন্ত্রী বলেন, আজকে যে পরিস্থিতি বিরাজমান, এতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এই মুহুর্তে দেশে শেখ হাসিনা ছাড়া স্বাধীনতার স্বপক্ষের আর কোনো নেতৃত্ব নেই। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা দিয়ে তিনিই দেশকে অগ্রযাত্রায় নিতে যেতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘সি ইজ নট অনলি দি লিডার অব বাংলাদেশ, সি ইজ স্টার অব দি লিডার অব সাউথ-ইস্ট এশিয়া। জাপান, থাইল্যান্ড, ভারতসহ সব দেশের মধ্যে শেখ হাসিনা আনপ্যারালাল নেতা।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে দোষারোপ করে মহসিন আলী বলেন, মনে রাখতে হবে স্থিতিশীল গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন। কিন্তু বিরোধী দল যদি শক্তিশালী হতে না চায়, নির্বাচনে অংশ না নেয়, তাহলে গণতন্ত্রের সঠিক মূল্যায়ন হয়না।
সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হলে সেদিন খালেদা জিয়াকে অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত ছিলো। যে রেজাল্টই আসুক না কেন। তাহলে আজকে যে পরিস্থিতি এসেছে, দেশে এই বোমাবাজি হতো না।
তিনি বলেন, যে যাই বলুক দেশে নির্বাচিত একটি সরকার আছে। সরকারকে মানতে হবে। গণতন্ত্রে দুষ্কৃতিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই শ্যুট অ্যাট সাইড এর জন্য বলেছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে শেখ হাসিনা চেষ্টা করেছেন, খালেদা জিয়াকে আহ্বানও জানিয়েছিলেন। সেদিনও খালেদা জিয়া যে অসভ্যতা করেছে। তাঁর ছেলের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন। কিন্তু ভেতরেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অথচ ওয়াজেদ সাহেবের মৃত্যুতে বারান্দায় বসিয়ে কথা বলেছেন, অ্যাপ্যায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গণতন্ত্র এক তরফা চলেনা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, গণতন্ত্রে আইনের শাসন অপরিহারর্য। গণতন্ত্রের আর সন্ত্রাস, নাশকতা একসাথে চলতে পারেনা। অবিলম্বে সন্ত্রাস, নাশকতা, সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।
সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, সন্ত্রাস বন্ধ করে গণতন্ত্র, আইনের শাসনকে রক্ষা করতে হবে। খেয়াল খুশি মতো আইনের প্রয়োগ করা যাবে না। তাই জাতীয় ঐক্যমতের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে পৌঁছতে হবে।
বক্তারা বলেন, এমএজি ওসমানীর মতো স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত নেতা আর কেউ ছিলেন না। তার কাজের জন্যই যুগ যুগ ধরে আগামী প্রজন্ম তাঁকে স্মরণ করবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সৈয়দা মাসুদা খাজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে এমএজি ওসমানের মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি সিএম তোফায়েল সামি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫