ঢাকা: ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) উত্তর ও দক্ষিণের নির্বাচনের জন্য আনুষাঙ্গিক সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ভোটার তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সীমানা নির্ধারণের গেজেট পাঠালেই নির্বাচনের পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব সিরাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিসিসি নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে সোমবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে জোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা পত্রিকায় মারফত জানতে পেরেছি। এ নির্বাচনের বিষয়ে মিডিয়া ছাড়া আর কোনো সোর্স আপাতত নেই। কেননা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এখনো আমাদের কিছু জানানো হয়নি।
তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সীমানা নির্ধারণের গেজেট আমাদের কাছে আসেনি। আমরা কোনো গেজেট পাইনিও। গেজেট এলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য গুরুত্ব দেওয়ার পর ইসির পরিকল্পনা কি এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ইসিতে এমন কোনো নির্দেশনা আসেনি। প্রধানমন্ত্রী সভাতে আলোচনা করেছেন, তা আমার গণমাধ্যমেই দেখেছি। তবে প্রত্যেক নির্বাচনের জন্য লজিস্টিক প্রস্তুতির বিষয় থাকে। এ সিটিতে ৪০ লাখ ভোটার রয়েছেন। তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়। আমাদের লজিস্টিক (আনুষঙ্গিক সকল) প্রস্তুতি রয়েছে।
আগামী মার্চ-এপ্রিলে নির্বাচনে বাধা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সিরাজুল ইসলাম বলেন, কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে কখন নির্বাচন করা যাবে। কিছু পাবলিক অ্যাফেয়ার্স থাকে, এ সময় নির্বাচন করা যায় না। যেমন এখন এসএসসি পরীক্ষা চলছে। এরপর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। কাজেই এসব ভেবেই নির্বাচন করতে হবে।
এক্ষেত্রে অবশ্যই রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করা হবে। ডিসিসি উত্তর-দক্ষিণ সিটির নির্বাচন হোক এটা সবার আকাঙ্খা। কাজেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়টি মাথায় নিয়েই নির্বাচন করবে কমিশন।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয়। এর মানে এই নয় যে স্থানীয় নির্বাচনে রাজনীতির কোনো অবকাশ নেই। এ যাবত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে দলগুলো তাদের সমর্থন পুষ্ট প্রার্থীদেরই সমর্থন করেছে। এটা নতুন কোনো বিষয় না।
বর্তমান কমিশন ২০১২ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর একই বছর ২৪ মে তফসিল ঘোষণা করেছিলো। কিন্তু উত্তর সিটিতে সীমানা জটিলতা নিয়ে একটি রিট আবেদনের কারণে এ নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। এখন ডিসিসি উত্তর ও দক্ষিণে প্রশাসক দিয়ে কাজ চালাচ্ছে সরকার। সর্বশেষ ডিসিসি নির্বাচন হয়েছিলে ২০০২ সালে ২৫ এপ্রিল। নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয় ২০০৭ সালের মে মাসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫