ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

এজলাসে বিচারকরা, কাঠগড়ায় সুবহান

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫
এজলাসে বিচারকরা, কাঠগড়ায় সুবহান

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুস সুবহানের মামলার রায় ঘোষণা করতে ট্রাইব্যুনালের এজলাসকক্ষে আসন নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারকরা। আসামির কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে সুবহানকেও।


   
বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে দশটায় ট্রাইব্যুনালে আসেন চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম। বেলা এগারটা ৩ মিনিটে এজলাসকক্ষে আসন নেন তারা।

৩ সদস্যের এ ট্রাইব্যুনাল কিছুক্ষণের মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধে পাবনা জেলায় যুদ্ধাপরাধের হোতা সুবহানের মামলার রায় ঘোষণা শুরু করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বেলা দশটা ৫৮ মিনিটে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানা থেকে আসামির কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে সুবহানকে। সকাল ৮টা ৫৬ মিনিটের দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে এনে সুবহানকে রাখা হয় হাজতখানায়। সকাল সাড়ে আটটা ৫০ মিনিটের দিকে কারাগার থেকে বের করে তাকে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের উদ্দেশ্যে রওনা হয় মাইক্রোবাসটি। তার পরনে রয়েছে সাদা রঙের পায়জামা-পাঞ্জাবি ও হাফহাতা সোয়েটার। তাকে চিন্তাযুক্ত দেখাচ্ছে।

গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ষড়যন্ত্রসহ ৮ ধরনের ৯টি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন পাবনা জেলা জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আমির ও কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শান্তি কমিটির সম্পাদক ও পরবর্তীতে ভাইস চেয়ারম্যান, রাজাকার-আলবদর-আলশামস-মুজাহিদ বাহিনীর নেতা আব্দুস সুবহান।

পাবনা শহরের পাথরতলা মহল্লার মৃত নঈমুদ্দিনের ছেলে আবুল বসর মোহাম্মদ আবদুস সুবহান মিয়া এলাকায় পরিচিত ‘মাওলানা সুবহান’ নামে। উর্দুতে কথা বলতে পারদর্শী হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই কুখ্যাত জামায়াত নেতা পরিণত হয়েছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অত্যন্ত আস্থাভাজন এক সহযোগীতে। স্বাধীনতা যুদ্ধবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সুবহানের ভূমিকা ছিল নীতিনির্ধারকের। পাবনায় যাবতীয় মানবতাবিরোধী অপরাধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, শান্তি কমিটি, রাজাকার-আলবদর বাহিনীর নেতৃত্ব দানকারী হিসেবে তাই তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটিতেও (উর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়)।

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন’১৯৭৩ এর ৩(২)(এ), ৩(২)(সি), ৩(২)(জি), ৩(২)(এইচ), ৩(২)(আই),  ৪(১), ৪(২)  এবং ২০ (২) ধারায় আনা হয়েছে এসব অভিযোগ।

এসব অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করা হয়েছে সুবহানের। পাশাপাশি তার হাতে নির্যাতিত-ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন প্রসিকিউশন।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।