ঢাকা: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষকসহ চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো.সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে হাজিরের জন্য কালিয়াকৈর থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের এ আদেশের লিখিত অনুলিপি বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলানিউজের হাতে এসেছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘জুতাপেটা করে ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসা’ শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এ প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী জায়দী হাসান খান, নওরোজ এম আর চৌধুরী, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও জহির আহমেদ।
আদেশে বলা হয়, ‘প্রতিবেদন মতে-কালিয়াকৈর থানা ঘটনা জেনেও কোনো লিখিত অভিযোগ ছাড়াই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করে। যা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারার পরিপন্থি। ’
আদালত এ বিষয়ে রুলও জারি করেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, আইজিপি, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, কালিয়াকৈর থানার ওসি, মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলামকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতের আদেশে আরো বলা হয়, কালিয়াকৈরের ভান্নারার ডেফোডিল আইডিয়াল হাইস্কুলের শিক্ষক সুজন মাহমুদের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা স্থানীয় মাতুব্বর আনোয়ার উদ্দিন, আবুল হাশেম, মোশাররফ সালিশের নামে নিষ্কৃতি দেওয়ার প্রচেষ্টার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। আর তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা ১৫ মার্চের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে।
এছাড়া ওই ছাত্রী এবং ছাত্রীর পরিবারকে নিরাপত্তা দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫