ঢাকা: মানহানি মামলায় বিএনপি সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এ পরোয়ানা সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।
এ মামলায় তারেক রহমান পলাতক আসামি। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজাকার’ বলায় ওইদিনই ঢাকার সিএমএম আদালতে দণ্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০০ ধারায় মানহানির অভিযোগে মামলাটি করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের নেতা মনির হোসেন মোল্লা।
শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে সেদিন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৫ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুকে ‘রাজাকার’, ‘খুনি’, পাকবন্ধু’ ও ‘শখের বন্দি’ অভিহিত করেন তারেক।
এসময় তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের কোনো ভূমিকা নেই!’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একাধিকবার ‘রং হেডেড’ ও ‘দখলদার’ বলে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন,‘...আর দখলদার রং হেডেড শেখ হাসিনা যখনই বিপদে পড়েন, তখনই জনগণকে ধোঁকা দিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দেন। ’
তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এধরনের মন্তব্য করে ‘রাষ্ট্রের সৃষ্টি’ ও ‘সার্বভৌমত্বে’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মানহানি করছেন বলে মামলায় অভিযোগ করেন বাদী।
একই অভিযোগে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নাটোর, কুমিল্লা, সিলেট, বগুড়া, ময়মনসিংহ, ভৈরব, সুনামগঞ্জ, মাগুরা, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, চুয়াডাঙ্গা, মুন্সীগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, রাঙ্গামাটি ও মৌলভীবাজারে প্রায় ১৬টি মামলা দায়ের করা হয়।
অধিকাংশ মামলায়ই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫