ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সাকার রায় ফাঁসের মামলার চার্জ শুনানি ২৪ ফেব্রুয়ারি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫
সাকার রায় ফাঁসের মামলার চার্জ শুনানি ২৪ ফেব্রুয়ারি সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মামলার রায়ের খসড়া ফাঁসের মামলায় তার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) শুনানির জন্য আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
 
বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মামলাটির চার্জ শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।

অবরোধ-হরতালজনিত কারণে কারাগার থাকা আসামি ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে না আনায় চার্জ শুনানি পিছিয়ে যায়।
 
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এসএম শামসুল আলম চার্জ শুনানির জন্য আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেন।
 
সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুমাম কাদের চৌধুরী এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

অপর তিন আসামি সাকার ম্যানেজার একেএম মাহবুবুল হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী (সাঁটলিপিকার) ফারুক হোসেন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন আলী কারাগারে আটক রয়েছেন।

গত বছরের ২৮ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক মো. শাহজাহান ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা ‘রায়ের খসড়া কপি’ সংবাদকর্মীদের দেখান।

রায় ঘোষণার পরদিন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার একেএম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। মামলায় ট্রাইব্যুনালের ফারুক ও নয়ন এবং ব্যারিস্টার ফখরুলের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদীকে আসামি করা হয়।
 
এছাড়া ৪ অক্টোবর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
 
মামলায় বলা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ঘোষণার পূর্বেই রায়ের কপি তার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া ব্যস্ত করেন যে, রায়ের কপি ইন্টারনেটের মাধ্যমে রায় ঘোষণার পূর্বেই তারা পেয়েছেন। রায়ের স্পাইরাল বাইন্ডিং কপি মিডিয়াতে প্রদর্শন করেন এবং ওই কপি নিয়েই তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রবেশ করেন।

চার্জশিটে বলা হয়, মিডিয়ায় রায় প্রকাশ হলে পরিচ্ছন্নকর্মী নয়ন আলী মেহেদী হাসানের চেম্বারে যান এবং রায় কিভাবে ফাঁস হলো জানতে চান। মেহেদী হাসান তাকে জানান, রায়ের কপি তার কাছ থেকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবার নিয়ে গেছে। তারাই অনলাইনে এ রায় ফাঁস করেন। নয়ন আলীকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মেহেদী।

নয়ন আলীর জবানবন্দির ভিত্তিতেই ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ম্যানেজার মাহবুবুল আহসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে মর্মে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।

চার্জশিটে আরও বলা হয়, আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দেশ-বিদেশে বিচার বিভাগ ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন করতেই কৌশলে রায়ের কপি সংগ্রহ করে তা এমএস ওয়ার্ড থেকে পিডিএফ এ রুপান্তর করে www.traibunalleaks.be  নামক অনলাইনে প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।