ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ড. জোহার ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫
ড. জোহার ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত

রাবি: ড. শামসুজ্জোহার ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বুধবার দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।  
 
বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনসহ বিভিন্ন ভবনে কালো পাতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।

সকাল ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শহীদ ড. জোহার মাজার ও জোহা স্মৃতিফলকে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় তারা শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
 
পরে, রসায়ন বিভাগ ও শহীদ শামসুজ্জোহা হলসহ অন্যান্য আবাসিক হল, বিভাগ, পেশাজীবী সমিতি ও ইউনিয়ন, এ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন শহীদ জোহার মাজার ও স্মৃতিফলকে পুস্পস্তবক অর্পণ করে। সকাল ৯টার দিকে অফিসার সমিতি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
 
সকাল ১০টায় সিনেট ভবনে ‘শহীদ ড. শামসুজ্জোহা স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ: শিক্ষা, সমাজ’ শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক।
 
তিনি বলেন, ‘এখন শিক্ষা নিয়ে ভাবনায় অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। একমুখি শিক্ষা ব্যবস্থা বাতিল হয়েছে। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রয়োজন মতো বহুমুখী শিক্ষাও বিচিত্র হয়েছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের স্নাতক-স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা যোগ করলে লক্ষের অংক ছাড়িয়ে গেলেও দেশের গোটা জনসংখ্যার সঙ্গে তুলনা করলে পরিতুষ্ট হওয়ার মতো নয়।
 
তিনি আরো বলেন, ‘রাষ্ট্র উচ্চশিক্ষা জন্য অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি দিয়ে দেশের ধনপতিদের সন্তানদের শিক্ষা গ্রহণের আলাদা ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এর তুলনায় সাধারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা খুবই কম। দেশের উচ্চশিক্ষার কেন্দ্রগুলো থেকে যারা বেরিয়ে আসছেন তাদের সম্পদে পরিণত করা যাচ্ছে না। দক্ষতা ও যোগ্যতার জন্য তারা শিক্ষিত বেকারে পরিণত হচ্ছে। তাই তাদের সম্পদে পরিণত করার জন্য রাষ্টকে দ্রুত প্রদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর শাহ আজম শান্তানুর সঞ্চালনায়, রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সায়েন উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
 
জোহরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন খানি ও বিশেষ দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
 
৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান চলাকালে এ দিনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা ছাত্রদের বাঁচাতে গিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে নিহত হন। তিনিই এদেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী। দিনটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শিক্ষক দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।