ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদের অভিযোগ

দুদক ডিজি কামরুল হাসান মোল্লাকে অব্যাহতি

আদিত্য আরাফাত, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫
দুদক ডিজি কামরুল হাসান মোল্লাকে অব্যাহতি

ঢাকা: প্রতিবেদনে মুক্তিযুদ্ধের সনদ নেওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্রুটিপূর্ণ বলা হলেও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (ডিজি) কামরুল হাসান মোল্লাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে সংস্থাটি।
 
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে পরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়ার সনদ ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করা হলেও তাকে একই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 
 
এ ছাড়া সদ্য অবসরে যাওয়া পরিচালক গোলাম ইয়াহিয়া ও উপপরিচালক ঢালি আবদুস সামাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বাদে আরো পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সনদ সঠিক বলে তথ্য-প্রমাণ মিলেছে।
 
বুধবার সন্ধ্যায় দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র এ সব বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
 
 
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের নয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত হয়। দুদকের উপপরিচালক জুলফিকার আলীকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।   নয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর সনদ সম্পর্কিত প্রতিবেদন শিগগিরই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
 
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, কামরুল হোসেন মোল্লা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ‘লালবই মুক্তিবার্তা’ বইয়ের বরাত দিয়ে যে নম্বর উল্লেখ করেছেন, মুক্তিবার্তা বইয়ে সেই নম্বর নেই।
 
প্রতিবেদনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে দুদকের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কামরুল হোসেন মোল্লা গেজেট প্রকাশের আগেই মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণ করেছেন।
 
নিয়ম অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের পর সনদ গ্রহণ করার কথা ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী স্বাক্ষরিত যে সনদ নিয়েছেন, তাতে অধিনায়কের স্বাক্ষর নেই।
 
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়ার নাম লালবই মুক্তিবার্তায় থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত সনদ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
 
সূত্র জানায়, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় পরিচালক গোলাম ইয়াহিয়া স্বেচ্ছায় অবসরে যান। মিথ্যা তথ্য দিয়ে নেওয়া সনদে তিনি পাঁচ মাস চাকরি করেছেন।
 
চাকরির মেয়াদ অনুযায়ী, তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল গত বছরের ১ জুলাই। সনদ যাচাইয়ের কাজ শুরু হলে তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যান গত বছরের ২ নভেম্বর।

কমিশনে পেশ করা এক আবেদনে পাঁচ মাস অতিরিক্ত চাকরির বেতনের টাকা অবসর পরবর্তী পাওনা অর্থ থেকে কেটে রাখার কথা বলেছেন। উপপরিচালক ঢালী আবদুস সামাদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা স্বাক্ষরিত লালবই মুক্তিবার্তায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ক্রমিক নম্বর উল্লেখ করেছেন, তা ভুয়া। চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় এরই মধ্যে তিনি অবসরে গেছেন।  
 
অনুসন্ধানে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারী হলেন- উপপরিচালক এসএম গোলাম মওলা সিদ্দিকী, সাবেক উপপরিচালক রঞ্জন কুমার মজুমদার, সহকারী পরিদর্শক আবদুস সোবহান, কোর্ট সহকারী  (এএসআই) নুরুল ইসলাম ও ইসহাক ফকির।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।