জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গত ৬ বছরে দুইজনকে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার একটি পেয়েছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ অন্যটি মো. মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জী।
বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে দশম সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা বেগমের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পটুয়াখালি হাউজিং এস্টেটের ২৬৭ নম্বর প্লটে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ৫ কাঠা জমি পেয়েছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। প্লটটি তিনি পেয়েছেন নবম সংসদের হুইপ থাকার সময়। এছাড়া রাজশাহী হাউজিং এস্টেটের ৬২৭/১ নম্বর প্লটে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সাড়ে ৪ কাঠা জমি পেয়েছেন মো. মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জী।
মন্ত্রী আরও জানান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গত ৬ বছরে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে উত্তরা আবাসিক এলাকায় ২৮টি, ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় ৪১টি এবং পূর্বাচল নতুন শহর এলাকায় ২৯৬টিসহ মোট ৩৬৫টি প্লট বরাদ্দ করেছে।
তিনি বলেন, রাজউকের বিভিন্ন আবাসিক প্রকল্পে ইতোপূর্বে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ সদস্যদের অনুকূলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রাজউক সম্প্রতি নতুন একটি আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে সংসদ সদস্যগণ প্লট বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করলে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, প্রতিষ্ঠার ৫৮ বছরে রাজউক এ পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৪৭৫টি প্লট তৈরি করেছে। এরমধ্যে আবাসিক ৫৩ হাজার ৩০৩, বাণিজ্যিক ২ হাজার ১২৬, প্রাতিষ্ঠানিক ৯৯৮ ও শিল্প প্লট ১ হাজার ৪৮টি।
মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের ২৪টি জেলা শহরে সরকারি পর্যায়ে হাউজিং আছে। নতুন জেলাতেও হাউজিং করার পরিকল্পনা আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫