ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ উপজেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী রফিকুল ইসলাম খোকন ওরফে খোকন পুলিশ (৩৬) নিহত হয়েছে।
বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, সন্ত্রাসী ও আন্তঃজেলা মাদক সম্রাট খোকন পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।
সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ জানায়, খোকন পুলিশকে ধরতে বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে পুলিশের একটি দল সোহাগী এলাকায় যায়।
পুলিশের দাবি, অভিযানে খোকনকে আটক করা হলে তিনি পুলিশের কাছ থেকে ছুটে গিয়ে পুলিশ সদস্যদেরই লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকেন। একইসঙ্গে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা তার সহযোগীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকেন। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে খোকন গুলিবিদ্ধ হন।
পরে হাসপাতালে আনার পথে খোকনের মৃত্যু হয়। এ সময় অভিযানে অংশ নেওয়া ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তারুজ্জামানসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন।
এরমধ্যে দুই পুলিশ কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ এবং অপর দু’জন স্প্রিন্টারবিদ্ধ হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খোকনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি এবং চারটি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, খোকন পুলিশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় অস্ত্র এবং মাদকসহ ৬টি মামলা রয়েছে। উপজেলায় তিনি পুলিশের এক নম্বর তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।
ওসি জানান, দেড় যুগ আগে খোকন চট্টগ্রামে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকুরিরত অবস্থায় মাদক নিয়ে ধরা পড়ে চাকুরিচ্যুত হন। এরপর থেকেই তিনি পুরোদমে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। মাদক ব্যবসায়ীদের মাঝে তিনি খোকন পুলিশ নামে পরিচিত ছিলেন।
এদিকে, খোকন নিহত হওয়ার খবরে বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে সোহাগী এলাকা থেকে তার সহযোগীরা ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সদরে এসে প্রতিবাদ মিছিল করলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এতে আহত হয় প্রায় ১০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৩ ঘণ্টা ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫