ঢাকা: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এবং লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও অপরজন যুবদল নেতা।
বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিনগত গভীর রাত থেকে বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত এ দু’টি ঘটনা ঘটে।
ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’নিহত ব্যক্তি হলেন- পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী রফিকুল ইসলাম খোকন ওরফে খোকন পুলিশ (৩৬), আর লক্ষ্মীপুর সদরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ব্যক্তি হলেন-ভাঙ্গাখাঁ ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বাবলু (২৫)।
বাংলানিউজের লক্ষ্মীপুর করেসপন্ডেন্ট সাজ্জাদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে ভাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের নেয়ামতপুর দোলাকান্দির একটি খাল থেকে যুবদল নেতা বাবলুর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাবলু উপজেলার রাদাপুর গ্রামের হাবিব উল্যাহ আজগরের ছেলে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার হোসেন কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাবলুর শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন রয়েছে।
ভাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি আবু সৈয়দ পিন্টু নিহত বাবলুর রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাবলু বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সকালে নেয়ামতপুর দোলাকান্দির একটি খালে তার মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার দায়িত্বরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নুরজাহান বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে, বাংলানিউজের ময়মনসিংহ জেলার স্টাফ করেসপন্ডেন্ট এম আবদুল্লাহ আল মামুন খান জানান, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী খোকন পুলিশকে ধরতে বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে পুলিশের একটি দল সোহাগী এলাকায় যায়।
পুলিশের দাবি, অভিযানে খোকনকে আটক করা হলে তিনি পুলিশের কাছ থেকে ছুটে গিয়ে পুলিশ সদস্যদেরই লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকেন। একইসঙ্গে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা তার সহযোগীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকেন। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে খোকন গুলিবিদ্ধ হন।
পরে হাসপাতালে আনার পথে খোকনের মৃত্যু হয়। এ সময় অভিযানে অংশ নেওয়া ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তারুজ্জামানসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন।
এরমধ্যে দুই পুলিশ কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ এবং অপর দু’জন স্প্রিন্টারবিদ্ধ হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খোকনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি এবং চারটি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, খোকন পুলিশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় অস্ত্র এবং মাদকসহ ৬টি মামলা রয়েছে। উপজেলায় তিনি পুলিশের এক নম্বর তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।
ওসি জানান, দেড় যুগ আগে খোকন চট্টগ্রামে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকুরিরত অবস্থায় মাদক নিয়ে ধরা পড়ে চাকুরিচ্যুত হন। এরপর থেকেই তিনি পুরোদমে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। মাদক ব্যবসায়ীদের মাঝে তিনি খোকন পুলিশ নামে পরিচিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫
** ঈশ্বরগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চিহ্নিত সন্ত্রাসী নিহত