ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এটি এখন ট্রাইব্যুনাল রেজিস্ট্রার কর্তৃক জারি করার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষের(আইজি প্রিজন) কাছে পাঠানো হবে।
বৃহস্পতিবার(১৯ ফেব্রুয়ারি’২০১৫)বেলা সাড়ে ১২টার দিকে থেকে মৃত্যু পরোয়ানা আদেশ জারি করা হয়।
বুধবার কামারুজ্জামানের ফাঁসির পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়।
একইদিন নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু পরোয়ানার আদেশ জারি করে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে। তখন সরকারের পক্ষে কামারুজ্জামানের ফাঁসির দিন ধার্য করতে কোন অসুবিধা থাকবে না। তবে কামারুজ্জামানের পক্ষ থেকে রিভিউ পিটিশন করা হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যাবে।
২০১৩ সালের ৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আল বদর বাহিনীর ময়মনসিংহ শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বলেও প্রমাণ হয় রায়ে।
এই বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলাকালে ব্যাপক নৃশংসতার অভিযোগ আছে। বুদ্ধিজীবী হত্যায়ও মূল দায়ী করা হয় আলবদর বাহিনীকে। জামায়াতের সে সময়ের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের নেতা-কর্মীরাই ছিলেন এই বাহিনীর নেতৃত্বে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫