ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

অফিসে জীনাত ইমতিয়াজের ঘুম কাহিনী!

নাজমুল হাসান, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫
অফিসে জীনাত ইমতিয়াজের ঘুম কাহিনী! ড. জীনাত ইমতিয়াজ আলী

ঢাকা: বুধবার বেলা ২টা থেকে পৌনে ৩টা। ঘটনাস্থল মৎস্য ভবন এলাকার আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।

২১ শে ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম পরিকল্পনা এবং এ ইনস্টিটিউটের বর্তমান অবস্থা জানতে অফিসের অ্যাসাইনমেন্টে যাই মহাপরিচালক ড. জীনাত ইমতিয়াজ আলীর ইনস্টিটিউট কার্যালয়ে।

কিন্তু জানালেন না নিজে কিছুই, কিন্তু জানা গেলো অফিসে চলাকালে তার নিয়মিত ঘুম কাহিনী।  

অগত্যা মহাপরিচালকের পাশের কক্ষে বসা উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানসূচি ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার নানা বিষয়ে নিয়ে।

এ সময় মঞ্জুরুল হক আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের নানা দিক তুলে ধরার পাশাপাশি প্রতিবেদনের সহযোগিতার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদি দিচ্ছেলেন। ২টা ৫০মিনিট এর দিকে মহাপরিচালক পাশের কক্ষ থেকে একজন নারী কর্মচারীকে পাঠিয়ে উপ-পরিচালককে আস্তে কথা বলার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে প্রতিবেদককে তাড়াতাড়ি ভবন ত্যাগ করার নির্দেশ দেন।

এই নির্দেশের পরও উপ-পরিচালকের সম্মতিতে নানা বিষয়ে নিয়ে আলাপচারিতা হচ্ছিলো। ৩টা বেজে ১০ মিনিট হঠাৎ মহা পরিচালক  ড. জীনাত ইমতিয়াজ আলী কক্ষে এসে হাজির হয়ে উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হককে বললেন, কি ব্যাপার এই ছেলের সাথে কি এতো কথা। এতো কিসের  কথা?

এরপর ইমতিয়াজ আলী প্রতিবেদককে প্রশ্ন করল আপনি কোন পত্রিকা থেকে এসেছেন এই অবেলায়? প্রতিবেদক উত্তরে বাংলানিজটোয়েন্টিফোর.কম এর পরিচয় দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এবং অনলাইন সংবাদ মাধ্যম নিয়ে বিষোদগার করেন। বাজে কথা বলেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম সম্পর্কেও।

এরপর তিনি উপপরিচালককে জলদি এই প্রতিবেদককে বিদায় দেয়ার কথা বলে কক্ষ ত্যাগ করেন তিনি। এরপর তার কক্ষে গিয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েন।

মহাপরিচালকের এমন অশালীন আচরণ দেখে উপ-পরিচালকও কিছুটা স্তম্ভিত। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এখানকার এক কর্মচারী বলেন,  উনি যখন ইচ্ছা তখন অফিসে আসেন। আর অফিসে তো কোনো কাজ নেই। বেশির ভাগ সময় উনি অফিসে ঘুমিয়েই কাটান।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের খুব বেহাল অবস্থা। অফিসের উচ্চপদস্থ কিছু উদাসীন কর্মকর্তার কারণে ২০১০ সালে চালু হওয়া আন্তজার্তিক মানের এই ভাষা ইনস্টিটিউটটি খুঁড়িয়ে-খুঁড়িয়ে চলছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অভ্যন্তরে শুধু বিভিন্ন ভাষার জন্য তৈরি করা ভাষা জাদুঘরটি কিছু স্বয়ংসম্পূর্ণতা পেয়েছে।   এছাড়া দীর্ঘ ৪বছর পেরিয়ে গেলেও পুরো রূপ পায়নি এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটটি।

এছাড়া ভাষা জাদুঘরটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকলেও কোনো দর্শনার্থী এখানে আসেন না। কারণ এখানে যে কোনো ভাষা জাদুঘর আছে তা অনেকেই জানে না।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই ইনস্টিটিউট নিয়ে গণমাধ্যম বা নিজ উদ্যোগে তেমন কোনো প্রচার না করায় আজও অনেকের কাছে অপরিচিত এই আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটটি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।