ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কাগজ বাঁশের তৈরি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালো শিশুরা

বেলাল হোসেন, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫
কাগজ বাঁশের তৈরি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালো শিশুরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শেরপুর (বগুড়া): ইউক্যালিপটাস গাছে ঘেরা একটি বাগান। সেই বাগানে গত দুইদিন আগ থেকে আসর বসায় কয়েকটি শিশু।

তারা বাড়ি বাড়ি থেকে খবরের কাগজ সংগ্রহ করে। পাশাপাশি বাঁশ ও গাছের কিছু ডালও সংগ্রহ করে তারা।

পরে নিজেরা মিলে চাঁদা দিয়ে কিছু রঙিন কাগজ, আঠা ও টেপ কেনে। এরপর সেই আঠা ও টেপ দিয়ে কাগজগুলো নানা আঙিকে জোড়া লাগায়। বাঁশ ও গাছের ডালগুলো সেই কাগজে মুড়িয়ে দেয়। সাজিয়ে গুছিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বানিয়ে ফেলে একটি চমৎকার শহীদ মিনার।  

সেই শহীদ বেদিতে কিছু রঙিন কাগজ ও কয়েকগুচ্ছ ফুল বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরো স্থানটি তারা যতুটুকু পেরেছে ঘিরে রেখেছে।

আর ক্ষুদে দর্শনার্থীরা বাইরে সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে একে একে ভেতরে প্রবেশ করে সেই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল ও ফুলের মালা দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছে।

এভাবেই শহীদ মিনার বানিয়ে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের সাধুবাড়ী পূর্বপাড়ার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র জোবায়ের হোসেন, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া হিরু, দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ফাহিম ও নার্সারির ছাত্র সাদিকসহ সাত-আট শিশু মহান ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে।  

শনিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে তারা বাংলানিউজকে জানায়, তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। তাই তারা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দুইদিন আগে থেকে শহীদ মিনার তৈরির কাজ শুরু করে তারা। এই শহীদ মিনারে তারা ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করে। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।

শহীদ মিনার বানিয়ে সেখানে ফুল দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে শিশু সিয়াম, আবদুল্লাহ, রাসেল, রেশমা, নূরানী, আব্দুর রহমান, ছাবিহা, আব্দুর রউফ সিয়াম, রিয়া প্রায় একইসঙ্গে বলে ওঠে, ‘‘বড়রা বলেন, এইদিনে কথার (ভাষার) জন্য সালাম, বরকতরা শহীদ হয়েছেন। তাই আমরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়েছি। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি। ’’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।