ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ হলেই সংলাপ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ হলেই সংলাপ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হলেই সংলাপ হতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারুক খান।

শনিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিয়াম অডিটোরিয়ামে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের ১০৫তম পর্বে আলোচক হিসেবে তিনি এ মত প্রকাশ করেন।


 
অনুষ্ঠানে প্যানেল সদস্য হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারুক খান, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন এবং বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স ফর উইমেন লিডারশিপ’র নির্বাহী পরিচালক নাসিম ফিরদৌস।
 
বর্তমান সঙ্কটের একটি রাজনৈতিক সমাধান না করে বাংলাদেশের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশে সরকারের পক্ষে সুষ্ঠুভাবে আগামী চার বছর দেশ পরিচালনা করা সম্ভব কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ দিনগুলোতে রাষ্ট্রপরিচালনা কঠিন। তবে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্বের বাইরে কোনো কাজ করছে না। গত দেড় মাস আগের চেয়ে পরিস্থিতি অনেক উন্নয়ন ঘটছে।
 
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হলেই সংলাপ হতে পারে। আমরা কখনই সংলাপের বিপক্ষে ছিলাম না। তবে বিএনপি-জামায়াত তাদের অবরোধ-হরতাল তুলে নিলেই দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হতে পারে। তখন পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
 
বিরোধীদল হরতাল-অবরোধ তুলে নিলে আলোচনায় বসবো সে নিশ্চয়তা আমি দিতে পারবো না উল্লেখ করে ফারুক খান বলেন, সব সময়ই আলোচনায় বসতে রাজী ছিলাম।
 
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সাধারণভাবেও আমাদের দেশে একটি ভালো বা ত্রুটিহীন নির্বাচন হলেও তিন বছর পর সরকারের জনপ্রিয়তা থাকে না। বর্তমানে আমাদের দেশে যে সরকার আছে, তা আইনগত বৈধ নয়। তাদের প্রতিনিধিদের সংখ্যাগরিষ্ঠই জনগণের দ্বারা নির্বাচিত না। ফলে এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।
 
মাহবুবুর রহমান বলেন, বর্তমান অবস্থায় দ্রুত গতিতে ধস নামছে। তাই চার বছর কেন সরকারের এক সপ্তাহ বা এক মাস টিকে থাকাও কঠিন হবে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সাধারণ জনগণই।
 
নাসিম ফিরদৌস বলেন,  ইয়েমেন বা সোমালিয়ার মতো দেশগুলোতে কিন্তু এভাবেই ধস নেমেছে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বিরোধীদলেরও একটা ভূমিকা আছে। বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধ দেওয়ার পর থেকেই কিন্তু সহিংসতা হচ্ছে। তারা অবরোধ প্রত্যাহার করুক, এরপর সহিংসতা হলে আমরা সরকারের জবাবদিহিতা চাইবো।
 
তিনি বলেন, আমাদের দেশে কি লোক নেই, যাদেরকে নিয়ে একটি অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে। বর্তমান সমস্যা সমাধানে বিদেশিদের চাপ লাগবে কেন?
 
এ প্রশ্নের জবাবে এক দর্শক বলেন, আমার মনে হয় এ অবস্থায় সরকারের পক্ষে আগামী চার বছর দেশ পরিচালনা করা কঠিন। কারণ দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিজেদের কাজ না করে রাজনৈতিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে।
 
আরেক দর্শক বলেন, বর্তমান অবস্থার পেছনে গত ৫ জানুয়ারি বিএনপি’র সমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে। তাদের সমাবেশ করতে দিলে কী এমন হতো? না-কি সরকারই ইচ্ছা করে এমন অবস্থার সৃষ্টি করেছে যাতে তাদের সব দুর্নীতি ঢাকা পারে।
 
ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কতদূর যেতে পারবে এমন প্রশ্নের জবাবে নাসিম ফিরদৌস বলেন, বাংলাদেশ যতটুকুই যাক তাতেই আমরা খুশী হবো। তবে আমরা আশা করবো বাংলাদেশ দল যেন অনেকটা এগুক।
 
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের দেশে ক্রিকেটে সবারই অবদান আছে। বাংলাদেশ সুপার এইটে উঠলেই আমরা খুশী থাকবো।
 
মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে এখন সব জায়গায় অন্ধকার। এই একটা জায়গায় বিশাল অর্জন আছে। এই একটা জায়গায় দেশ ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। তারা বিশ্বকাপ জয় করে এসেও দেশের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে অবদান রাখতে পারেন।
 
ফারুক খান বলেন, আমাদের বর্তমান দলটা ফাইনালে যাওয়ার মতো দল নয়। তবে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারে। ফাইনালে যাওয়ার আশা অনেকটা বিএনপি-জামাতের অবরোধ উঠিয়ে নেওয়ার আশার মতো হবে।
 
অনুষ্ঠান প্রযোজনা করেন ওয়ালিউর রহমান মিরাজ এবং উপস্থাপনা করেন আকবর হোসেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।