ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ঘন কুয়াশায় মেঘনায় লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫
ঘন কুয়াশায় মেঘনায় লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চাঁদপুরগামী লঞ্চ এমভি সোনারতরী থেকে: ফাল্গুনের দ্বিতীয় সপ্তাহেও ঘন কুয়াশার কারণে মেঘনানদীতে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় বেশ কয়েকটি লঞ্চ আটকে আছে।

বন্ধ রয়েছে এ রুটে চলাচলকারী বিভিন্ন যাত্রী ও মালবাহী লঞ্চ।

গন্তব্যমুখী যাত্রার মাঝ পথে হঠাৎ এধরনের ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তির পাশাপাশি বেশ আতঙ্ক রয়েছেন লঞ্চের যাত্রীরা।
 
চলতি শীত মৌসুমে বেশ কয়েকদিন মেঘনায় লঞ্চ চলাচলে ব্যাহত হলেও ফেব্রুয়ারির শেষ মুহূর্তে এ ধরনের ঘটনা খুবই কম ঘটে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।  

সংশ্লিষ্টরা জানান, সকাল ৭টার দিকে ঢাকা সদরঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে এমভি সোনারতরী ছেড়ে আসে। পোস্তগোলা সেতু পার হওয়ার পর কিছুটা কুয়াশা দেখা গেলেও পরে লঞ্চ চলাচলে কোনো বাধা সৃষ্টি হয়নি।      

কিন্তু মেঘনানদীতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ঘাটের পর থেকে কুয়াশার কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি বিপরীত দিক থেকে আসা বিভিন্ন মাল ও যাত্রীবাহী লঞ্চও আটকে পড়ে।

চাঁদপুরগামী এমভি সোনারতরী’র টিকিট মাস্টার বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমে কুয়াশা না থাকায় সকাল সাতটার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে। কিন্তু পৌনে নয়টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় গিয়ে ঘন কুয়াশার কারণে লঞ্চ এগুতে পারছে না।

‘ফেব্রুয়ারিতে এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়নি’—বলেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, মেঘনার গজারিয়া এলাকায় শুধু সোনারতরী লঞ্চই নয়, ঢাকা ও চাঁদপুরমুখী বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী এবং মালবাহী লঞ্চ আটকে আছে।

দুর্ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন ধরনের সতর্কতা সংকেত দেওয়ার পাশাপাশি মাইকে যাত্রীদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য ঘোষণা দিচ্ছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।

এম ভি সোনারতরী লঞ্চের যাত্রী সুমন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ফাল্গুন মাসে আবহাওয়া পরিষ্কার থাকে। হরতাল-অবরোধে বাসে না গিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লঞ্চে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলাম। কিন্তু যাত্রা শুরুর পর মাঝ নদীতে আটকে যাওয়ায় বেশ দুশ্চিন্তা হচ্ছে।

‘বেলা সাড়ে নয়টা বাজলেও এখানে কয়েক হাত দূরের বস্তু দেখা যাচ্ছে না’ উল্লেখ করে লঞ্চের টিকিট মাস্টার বেলাল হোসেন বলেন, কুয়াশার তীব্রতায় নদীর মার্কিং পয়েন্ট দেখতে না পাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চ  বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে সতর্কতা সংকেতও দেওয়া হচ্ছে।

কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর লঞ্চ আবার গন্তব্যে রওনা হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।