মানিকগঞ্জ: পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে মাঝপদ্মায় রোববারের (২২ ফেব্রুয়ারি) লঞ্চডুবির ঘটনায় শুভল সূত্রধর (৬২) নামে আরো একজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লঞ্চডুবির ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ কিলোমিটার ভাটিতে শিবালয় উপজেলার আরওয়া ইউনিয়নের মান্ডাখোলা এলাকা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৯টি মৃতদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া, পরিচয় না পাওয়ায় মধ্যবয়সী এক নারীর মরদেহ আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘিওর ফায়ার স্টেশন অফিসার জিহাদ হোসেন জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতার অংশ হিসেবে নদীতে টহল অব্যাহত ছিল। এ সময় এক ব্যক্তির মৃতদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
তাৎক্ষণিক মৃতদেহের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনের সিম থেকে নাম্বার সংগ্রহ করে পরিবারের লোকজনকে ফোন দিলে মৃতদেহটি শুভল সূত্রধরের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে, লঞ্চডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরো ১১ জন। তারা হলেন- মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদিনের ছেলে আবুল হোসেন হাসু, এলাচিপুর গ্রামের শেখ আফাজ উদ্দিনের ছেলে সোরহাব হোসেন, চরকুশণ্ড গ্রামের মান্নু পাগলা (৬৫), ঢাকার মহাখালী এলাকার ৭৫ নম্বর বাসার সামাদ হোসেনের ছেলে ব্র্যাক কর্মকর্তা মোস্তফা মাহফুজ, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দলিলপুর গ্রামের নাজমুল হোসেনের মেয়ে মারুফা খাতুন (৫), রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মুরাদনগর গ্রামের সেকেন আলীর স্ত্রী অজিরুন্নেসা (৩৮), নড়াইলের লোহাগড়া এলাকার হাসেম আলীর স্ত্রী সাহেদা বেগম, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর যাদবপুর গ্রামের মিলন শেখের স্ত্রী লিপি আক্তার (৪২), নড়াইলের আইয়ুব আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লম্বারচর এলাকার হামিদা বেগম (৫৫) ও ফরিদপুরের ভাংগা উপজেলার নুর ইসলামের ছেলে জুয়েল রানা (২৭)।
** পাটুরিয়ায় লঞ্চডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ ১১
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫