জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময়ে শিশু রাসেলের মানসিক অবস্থা ও তার হৃদয় বিদারক আর্তনাদের কথা ছন্দে ছন্দে সংসদে তুলে ধরেছেন কণ্ঠশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম।
মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের ২১তম কার্যদিবসে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনার সময় ছন্দের মাধ্যমে আলোচনা শুরু করেন তিনি।
মমতাজ বলেন, আজ আমি ছোট্ট শিশু রাসেলকে স্মরণে বলতে চাই, একটা শিশু চোখের সামনে মায়ের লাশ দেখছে, বাবার লাশ দেখছে, ভাইয়ের লাশ দেখছে। এরকম একটা অবস্থায় একটা শিশুর কী অবস্থা হতে পারে? এটাই আমি ছন্দে তুলে ধরতে চাই...
বাবার লাশটি সিঁড়িতে পড়া,
মায়ের লাশটি মেঝেতে পড়া।
ভাইয়ের লাশটি সিঁড়ির গোড়ায় বাবার রক্তে ভিজে,
মেঝো ভাইও লাশ, এ কি সর্বনাশ।
দু’জন ভাবি মায়ের মতো, বুলেটে ক্ষতবিক্ষত,
ছোট্ট শিশু শেখ রাসেল এসব দেখতে দেখতে
মায়ের কাছে যাবো আমি বললো কাঁদতে কাঁদতে,
খুনি বলে অস্ত্র তুলে যাবি মায়ের কাছে?
চল তোরে দিয়ে আসি তোর মা যেখানে আছে!
রাসেল হ্যাঁ বললো,
ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলের বুকেও গুলি চললো।
মা মা বলে লুটিয়ে পড়লো মায়ের লাশের পাশে,
রক্তভেঁজা মায়ের আচল রাসেল রক্তে ভাসে।
মা মা বললো, লুটিয়ে পড়লো, ধরলো মায়ের গলা,
কাঁদিস নারে জাদু আমার মা’র হইলো না বলা।
রাসেল হ্যাঁ বললো,
ছোট্ট শিশু রাসেলের বুকেও গুলি চললো।
এরপর মমতাজ বলেন, সেই থেকেই শুরু হয়েছে যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি। তারা আজও পর্যন্ত নির্মম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করছে, জ্বালাও-পোড়াও করছে। বিএনপি কোনদিনই মানুষের জন্য রাজনীতি করেনি, এখনও করছে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫