বেনাপোল (যশোর): যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন ভবনের নিরাপত্তা ও পাসপোর্ট যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে ১৬টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ভবনের মধ্যে ও বাইরে এই সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হয়।
বন্দর সূত্র জানায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এ পথে প্রতিদিন সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার হাজার পাসপোর্ট যাত্রী ব্যবসা, চিকিৎসা ও ভ্রমণের কাজে যাতায়াত করেন। কিন্তু তাদের নানা হয়রানির করা হয়।
এরআগে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে কম্পিউটার ও গুরুত্বপূর্ণ ফাইল চুরির ঘটনা ঘটে। এর বাইরেও রয়েছে দালাল, স্থানীয় প্রতারক ও মাস্তান চক্রের হাতে হয়রানি, চাঁদা এবং নিরাপত্তা সমস্যা।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ভবনে ভ্রমণ ট্যাক্সে বাড়তি ২০ টাকা প্রদান, কাস্টমস পার হতে পাসপোর্টপ্রতি ৫০ টাকা প্রদান করতে হয় যাত্রীদের। পরে ইমিগ্রেশনে প্রাইভেট সার্ভিস পাসপোর্টে সিল মারতে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, ট্যুরিস্ট ও মেডিকেল ভিসা যাত্রীদের ৫০ থেকে ১০০ টাকা হারে ঘুষ দিতে হয়।
এভাবে ইমিগ্রেশন অফিস পার হয়ে ভারতে প্রবেশের মুখেও ঘুষ সহ নানা হয়রানিতে পড়েন যাত্রীরা। কেউ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বিভিন্ন অজুহাতে তাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
এছাড়া ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিজস্ব কিছু বহিরাগত দালাল কর্তৃক ট্যাক্স ফাঁকির ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। এরা যাত্রীদের কাজ করিয়ে দেওয়ার নাম করে ভারতে পার করে দিচ্ছে। এতে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, ভারত থেকে ফেরত আসার পথেও একই রকম সমস্যার মুখে পড়েন যাত্রীরা।
বিভিন্ন মহল থেকে এসব অভিযোগ আসার পরে গত সপ্তাহে ইমিগ্রেশন ভবনে ব্যবসায়ী, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। বৈঠকে নিরাপত্তা প্রদান ও হয়রানিরোধে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবনের চারপাশে সিসি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ও কাস্টমস সুপার হাসানুজ্জামান সিসি ক্যামেরা লাগানোর বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫