ঢাকা: ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় রূপা (১৯) নামে এক গৃহবধূকে খুন করেছে পাষণ্ড স্বামী।
মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার যন্ত্রাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে স্বামী শাহিন (৩৫) পলাতক রয়েছেন।
নিহত রুপা উপজেলার বালুখন্ড গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে।
নিহতের মা রুকসানা বেগম বাংলানিউজকে জানান, দুই মাস আগে রুপাকে যন্ত্রাইল এলাকায় মৃত রহমান মেম্বারের ছেলে শাহিনের সঙ্গে তার মেয়েকে বিয়ে দেন। সোমবার রাতে জামাই শাহিন তাকে মোবাইল ফোনে জানায় রুপার মোবাইলে কে বা কারা ফোন দেয়। এ নিয়ে রুপাকে শাহিন মারধর করে। এ সময় সে রুপার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তার সঙ্গে কথা বলা যাবে না বলে শহিন তাকে জানান। তাকে আমি মেরে ফেলবো বলে শাহিন মোবাইল লাইন কেটে দেন।
রুকসানা বেগম আরো জানান, তিনি ভেবে ছিলেন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হয়তো ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে তা ঠিক হয়ে যাবে। মেয়ের জামাই শহিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে ফোন দিয়ে জানান শাহিন তার মেয়েকে মেরে ফেলছে। এরপর শাহিন ফোন বন্ধ করে দেন।
নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাসার বাংলানিউজকে জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
তিনি আরো জানান, মৃতদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫