ঢাকা: বাংলাদেশ ঘুরে গেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক উপকমিটির তিন সদস্যের একটি দল। এবার তারা তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করবেন ব্রাসেলসের এ উপকমিটির বৈঠকে।
মঙ্গলবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ওয়েবসাইট থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
‘মানবাধিকার ও প্রযুক্তি: তৃতীয় দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নজরদারি ও অনাহুত প্রবেশের প্রভাব’ বিষয়ক আলোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশ ঘুরে যাওয়া প্রতিনিধি দলের দেওয়া প্রতিবেদন প্রসঙ্গেও আলোচনা হবে সেখানে।
বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসের স্থানীয় সময় সকাল নয়টায় এ মানবাধিকার বিষয়ক উপকমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে তিন সদস্যের প্রতিনিধিরা আলোচনার পাশাপাশি একটি খসড়া প্রতিবেদন জমা দেবেন।
গত ১৬ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি উপকমিটির সহসভাপতি ক্রিশ্চিয়ান ড্যান প্রেদার নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেন। বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট, মানবাধিকার পরিস্থিতির সরেজমিন পর্যবেক্ষণ, রোহিঙ্গা ও শ্রম অধিকার বিষয়ে জানতে বাংলাদেশে আসেন তারা।
সফরের শেষ দিনে ক্রিশ্চিয়ান প্রেদা বলেন, মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আর এজন্যই আমরা এ সফরে এসেছি।
এছাড়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিনিধি দল জানায়, বাংলাদেশকে আমরা শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে চাই। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানো প্রয়োজন। এজন্য মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা অপরিহার্য উপাদান।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকাস্থ কার্যালয় থেকে পাঠানো এ বিজ্ঞপ্তিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল সরকার ও বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করে অবিলম্বে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের প্রস্তাব পুনরায় উল্লেখ করে প্রতিনিধিদল গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে অব্যাহতভাবে উদ্বেগ জানায়।
বিভিন্ন আলোচনায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়। এ ক্ষেত্রে মৌলিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিনিময়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত নয় বলে উল্লেখ করেন তারা।
সহিংসতা বন্ধে সরকার ও বিরোধীদলকে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক মহল ও সুশীল সমাজের পরামর্শ গ্রহণ করার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে। প্রেদা ছাড়াও প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন- ক্যারোল কারস্কি, ইলিনা ভেলেন্সিয়ানো ও জোসেফ ওয়াইডেনজার।
সফরকালে সরকারের মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী নেতা, পরিবেশবিদ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, স্পিকার ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫