ঢাকা: বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলের টানা হরতালে রাজধানীতে প্রথম দিকে মানুষ সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বের হতো না। কিন্তু ধীরে ধীরে এ অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।
অবরোধে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীতে যানজট দেখা গেছে। বিশেষ করে উত্তরা থেকে মহাখালী পর্যন্ত অনেকে ঘণ্টাব্যাপী যানজটে আটকে ছিলেন। এতে বেশ ভোগান্তিতে পড়ছেন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা। ।
যানজটে পড়ে যাত্রীবাহী বাসে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন অফিস থেকে বাসাগামী হাজারো যাত্রী।
কাকলী নৌ-বাহিনীর অফিসের সামনে যানজেট আটকে থাকা বাসযাত্রী বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা মো: শামিম হোসেন জানান, আগে হরতাল–অবরোধে রাস্তায় যানবাহন কম চলাচল করতো। কিছুদিন ধরে সেই চিত্র পাল্টে গেছে। এখন হরতাল-অবরোধেও যানজট লেগেই থাকে।
তিনি বলেন, সন্ধ্যা থেকে রাস্তায় প্রচুর গাড়ির চাপ ছিল। উত্তরা প্রায় ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে বাসে উঠেছি। কিন্তু কাকলী এসে ১ ঘণ্টা ধরে বাসে বসে আছি। বুঝতে পারছি না কখন এই তীব্র যানজট থেকে মুক্তি পাব।
আজিমপুর- গাজীপুর রুটের ভিআইপি বাসের হেলপার কামরুল হাসান বলেন, বিশ্ব রোড বাস স্টপেজ থেকে ৭টায় বাসে উঠেছি। মহাখালী আসতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে।
এদিকে রেডিসন হোটেলের সামনে থেকে মালিবাগ যাওয়ার উদ্দেশে বাসে উঠেছেন আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন. ছেলের অসুস্থ্যতার কথাশুনে অফিস থেকে
তাড়াতাড়ি বের হলাম। বাসায় ফিরে ছেলেটাকে হাসপাতালে নিয়ে যাব। যানজেটর যে অবস্থা কখন বাসায় গিয়ে ছেলেটা হাসপাতালে নিয়ে যাব বুঝতে পারিছ না। কথাগুলো বলতে বলতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ট্রাফিক (ঢাকা-উত্তর) আবু ইউসুফ বাংলানিউজকে বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে রাস্তায় প্রচুর যানবাহনের চাপ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ভিআইপি মুভমেন্ট থাকায় এসব রাস্থায় যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। এখন যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫