ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কানে দুল গলায় ট্যাটু, মান্নাপুত্র বিদেশে পড়ে

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫
কানে দুল গলায় ট্যাটু, মান্নাপুত্র বিদেশে পড়ে ছবি: সায়মন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সেনা বিদ্রোহের উস্কানির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ফোনালাপে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকাকে বলেছেন, ‘ধরেন, ইউনিভার্সিটিতে একটা মিছিল হলো। ধরেন যা মারামারি বাইরে হচ্ছে।

ইউনিভার্সিটিতে মারামারিতে গেলো দুই তিনটা। কি করা যাবে? কিন্তু হল…আপনারা গভ:মেন্টকে শেইক করে ফেললেন। ’

দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী থেকে আসা  দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজনীতির এ ছক আকঁতেই পারেন মান্না। কারণ তার নিজের সন্তান নিলয় মান্না পড়াশোনা করছেন ইউরোপের একটি দেশে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গুলশান থানায় মান্নার স্ত্রী মেহের নিগারের সঙ্গে বাবার খোজেঁ আসেন ছেলে নিলয় মান্না এবং মেয়ে নিলম মান্নাও। প্রগতিশীলতার পরিচয় দিয়ে সুশীল তকমা লাগিয়ে রাজনীতির মাঠে বিচরণ করা মান্নার ছেলে বাবার খোজঁ করতে এসেছেন পাঞ্জাবি গায়ে। ছেলেটির দুই কানে দুই দুল আর গলায় ওয়েস্টার্ন ট্যাটু বলে দেয় পাশ্চাত্যের ছোঁয়াই বেশি তার শরীরে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকার একটি ব্যায়বহুল ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে এ লেভেল শেষ করে ইউরোপের একটি দেশে উচ্চতর পর্যায়ের পড়াশোনা করতে যান নিলয়।

গুলশান থানায় জনৈক ব্যক্তির কাছে নিজের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট কোনো ফোন ইউজ করি না। কারণ দেশের বাইরে থাকি। এসেছি মাত্র দুদিন হলো। ’

ইউরোপের নির্মল পরিবেশে নিজের সন্তান পড়াশোনা করছে বলেই হয়তো খোকাকে মান্না বলতে পারেন, আরেকটা বিষয় আমি ওই যে বলেছিলাম। কোনভাবে ইউনিভার্সিটি… নাকি এটা ভাবেন। দ্যাট শুড বি এনি কস্ট। যদি পারা যায়। আমি জানি না। এটা আরও আগে, মাস তিনেক আগে…’

খোকাকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ধরেন, ইউনিভার্সিটিতে একটা মিছিল হলো। ধরেন যা মারামারি বাইরে হচ্ছে। ইউনিভার্সিটিতে মারামারিতে গেলো দুই তিনটা। কি করা যাবে? কিন্তু হল…আপনারা গভমেন্টকে শেইক করে ফেললেন। ’

ইউরোপের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হলে থাকা নিয়ে ঝুট ঝামেলা নেই। সেখানে নেই হল দখলের লড়াইও। তাইতো নিশ্চিন্তে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মান্না বলেন, ‘আমি মাস তিনেক আগে… কে বলেছিলাম, যে কোনভাবেই হোক আপনি আগে ইউনিভার্সিটিতে দুই তিনটা হল দখল করেন। আগে এ রকম ছিলোতো আমাদের। এই পাঁচটা হল আমাদের। ওই তিনটা হল তোমাদের। ওই দুইটা ওদের। ’

তখন খোকা বলেন, ‘না আমাদের ছাত্রদলের এ রকম স্ট্রেংথ এখন আর নাই। ’ এ কথার পরে ছাত্রদের জন্যে হয়তো কিছুটা হলেও মায়া দেখিয়েছেন খোকা। বলেছেন, ‘ছাত্ররা হয়তো ছাত্র-ছাত্রের লড়াইতে কুলাইতে পারবেন।   কিন্তু পুলিশ টুলিশ আইসা, ইউনিভার্সিটি অথরিটি আইসা, ঢুইক্যা-ফুইক্যা রুম-টুম ইয়ে টিয়ে করে, বড় ধরনের একটা ইয়ে হয়ে যাবে। ’

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনাকেই মান্না রাজনৈতিক ফায়দা হিসেবে দেখছেন। তাই খোকাকে বলেন, ‘একটা বড় ধরনের কিছু হলে ঘটনাই পাল্টে যাবে। গভ:মেন্ট সুতার উপরেই ঝুলছে এখন। যে টোনে কথা বলতে দেখছি, তাতে আমার কাছে মনে হয়েছে, গভ:মেন্ট রিয়াল একটা শেকি পজিশনে আছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।