ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মাসের শেষ বুধবার রাজউকের শুনানিতে থাকবেন মন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫
মাসের শেষ বুধবার রাজউকের শুনানিতে থাকবেন মন্ত্রী ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: নকশা অনুমোদন বা জমি নিবন্ধনের বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র (রাজউক) গণশুনানিতে (পাবলিক হেয়ারিং) প্রতি মাসের শেষ বুধবার নিজে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজউক কার্যালয় পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।



মন্ত্রী বলেন, রাজউক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। নকশা অনুমোদন, জমি নিবন্ধনসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা নিতে মানুষ রাজউকে আসেন। সেবা নিতে এসে মানুষের যেন হয়রানি না হয়, সেজন্য রাজউকে গণশুনানির ব্যবস্থা আছে। শুনানিতে সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে রাজউক কর্মকর্তরা হয়রানির কথা শোনেন।

তিনি বলেন, সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে কী ধরনের অভিযোগ আসে সেগুলো নিজ কানে শোনার জন্য আমি ও আমাদের মন্ত্রণালয়ের সচিব এসেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রতি মাসের শেষ বুধবার অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে উপস্থিত থেকে সেবা গ্রহীতাদের কথা শুনবো। তাহলে আমরা তাদের ভোগান্তির ধরন বুঝতে পারবো। এর ফলে রাজধানীবাসীর সেবা আরও ত্বরান্বীত হবে।

মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, প্রতি মাসের শেষ বুধবার আমরা দু’জনই (মন্ত্রী ও সচিব) উপস্থিত থাকবো। আমরা উপস্থিত থাকতে না পারলে, মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। মানুষের সেবা পাওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করবো।

রাজউকের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ভবন নির্মাণে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি) থাকতে হবে। বড় ভবনের জন্য অবশ্যই এসটিপি থাকতে হবে।

এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কক্সবাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা খরচ করে হোটেল করা হয়েছে। কিন্তু কোনো হোটেলে এসটিপি করা নেই। আড়াই’শ কোটি টাকা খরচ করে হোটেল করবেন, আর এক কোটি টাকা খরচ করে এসটিপি করবে না, এটা ঠিক না।

এসটিপি না থাকলে পরিবেশ দূষণ হবে, বলেন মন্ত্রী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মাইনুদ্দিন আবদুল্লাহ, রাজউক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন ভূইয়া প্রমুখ।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে বিষয়গুলো রাজউক’র মনিটরিং করার কথা সেগুলোর ৭৫ শতাংশই করা হয় না। তাহলে রাজউকের এ কাজগুলো করার দরকার কি? আপনারা যদি না পারেন, বলেন আমরা পারি না।

এ সময় রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ক্লোজ মনিটরিংয়ের বিষয়টি আমরা ঠিকমতো করছি। তবে এরপর ঘরোয়া যে মনিটরিং করতে হয় সেক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা ব্যর্থতা রয়েছে। লোকবল নিয়োগে অনেক সময় লেগে যাওয়ার কারণে এটি হয়েছে। এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।